উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
এই পৃথিবী দিন দিন আরও আধুনিক হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের জীবন থেকে। বিগত দিনের সেই সব জিনিসই হয়ে উঠছে এখানের পুজোর থিমের বিষয়। যেমন রামপুরহাট শহরের দশেরপল্লি। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য কৌশিক সরকার বলেন, যুগ এগিয়ে চললেও সার্বিক উন্নতি কি হচ্ছে? প্রাচীন কৃষ্টি সংস্কৃতি আমরা হারাতে বসেছি। সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে। প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চাই একমাত্র দিশা দেখাতে পারে। সেই ভাবনায় মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। থিম ভাবনা ও তা রূপায়ণ করেছেন শহরের শিল্পী প্রসেনজিৎ মণ্ডল। তিনি বলেন, যেকোনও আর্ট এবং কালচার সংস্কৃতিকে ধারণ করে রাখে। কিন্তু আমরা সেইসব প্রাচীন সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলতে বসেছি। মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে সেই সব শিল্পকর্ম, নৃত্য কৌশল তুলে ধরা হবে। মণ্ডপে যেমন শোভা পাবে প্রাচীন শিল্পকর্ম, তেমনই ভরতনাট্যম, কথাকলি সহ নানা মূর্তি করা হচ্ছে। এছাড়া থাকবে কাঠের পুতুল ও প্যাঁচা, লণ্ঠন, মুখোশ সহ নানা উপকরণ। বাঁশ, কাঠ ও নানা রঙের কাপড় দিয়ে ৬০ফুট প্রস্থের ও ৪৫ফুট দীর্ঘ মণ্ডপ গড়ে উঠছে।
এদিকে প্রতিবছরই দশেরপল্লির সাবেকি দুর্গা প্রতিমা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। এবারও তাঁদের প্রতিমা তৈরি করছেন মুর্শিদাবাদের মৃৎশিল্পী গণেশ সূত্রধর। সাধারণভাবে প্রতিমার গায়ে জড়ানো থাকে রকমারি ডিজাইনের শাড়ি। কিন্তু এবার ব্যতিক্রমী ধরা পড়বে দশেরপল্লির প্রতিমায়। দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর পরনে থাকবে কাতান সিল্ক।
কমিটির সভাপতি সুশান্ত রুজ, সম্পাদক কৌশিক সিংহা বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি আমরা যদি বঙ্গীয় ও ভারতীয় শিল্পের চর্চা করি তাহলে আমাদের সকলের নান্দনিক চেতনার বিকাশ ঘটবে। তাই আগামীদিনের কথা ভেবে সামাজিক সেই অভাব পূরণে আমরা উদ্যোগী হয়েছি।
পঞ্চমীতে পুজোর উদ্বোধন হবে। পুজোর ক’টা দিন থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। উদ্যোক্তাদের আশা, এবার তাঁদের পুজো মণ্ডপের শিল্পের নৈপুণ্য ও দেবী প্রতিমা দর্শনার্থীদের চমকে দেবে। -নিজস্ব চিত্র