উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
আরামবাগ থেকে খানাকুলের বন্দর যাওয়ার রাস্তায় দেখা গেল বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে। শঙ্করপুর, কাকনান, বন্দর এলাকা এখনও রূপনারায়ণের জলে ডুবে। বহু ঘরবাড়ি জলমগ্ন। তবে আগের তুলনায় জল কিছুটা নেমেছে। কিন্তু, পচা জলের দুর্গন্ধে টেকা দায়। রূপনারায়ণ নদ চরম বিপদ সীমা থেকে কিছুটা নীচে বইছে বলে সোমবার প্রশাসন জানিয়েছে। বন্দর এলাকার বাসিন্দা শ্যামলী গুছাইত বলেন, একতলা পাকা ঘরে পরিবার নিয়ে থাকতাম। বাঁধ ভেঙে বাড়ি ভেসে গিয়েছে। এখন আমরা আশ্রয়হীন হয়ে রয়েছি। কী হবে জানি না।
খানাকুলের বারাসত এলাকায় দেখা গেল, ট্রাক্টরে চাপানো রয়েছে দুর্গা প্রতিমা। উঁচু বাড়ির ছাদেও ঠাঁই হয়েছে অসমাপ্ত দুর্গা প্রতিমা। বারাসত নারকেল তলায় প্রায় ৩৫ বছর ধরে প্রতিমা গড়ার কাজ করছেন শিল্পী হারাধন আড়ি। জল কিছুটা নামতেই তিনি তড়িঘড়ি প্রতিমা বাইরে এনে গড়ার কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু, বাকি শিল্পীদের বাড়ি এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। তাই শিল্পীরা কাজ শুরু করতেই পারেননি। প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থাতেই রয়েছে প্রতিমাগুলি। হারাধনবাবু বলেন, এবারের বিশ্বকর্মা পুজোর সময় থেকেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই বিশ্বকর্মা প্রতিমা সব বিক্রি হয়নি। এবার দুটি দূর্গা প্রতিমা গড়ছি। কিন্তু, এমন ভয়াবহ বন্যায় মূর্তি গড়ার কাজ কীভাবে শেষ হবে জানা নেই। মাটি পাওয়া নিয়েও চিন্তা রয়েছে। চারিদিকেই এখনও জল রয়েছে। তাই জল নামলে দূর থেকে মাটি আনতে হতে পারে। অতিরিক্ত শ্রমিক লাগিয়ে প্রতিমা গড়ার কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। না হলে সমস্যা হবে। কিন্তু, তৈরির কাজ সবাই করতে পারে না। তাই এখন চিন্তা হচ্ছে। পুজো নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বহু উদ্যোক্তাও। অনেকেই পুজোর প্রস্তুতিতে সমস্যায় পড়েছেন। বহু পুজো মণ্ডপও জলমগ্ন হয়ে যায়। নিজস্ব চিত্র