উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
প্রথমে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ আসবেন। দুর্গাপুর ব্যারেজ ও নদী পরিদর্শন করবেন বলে নদীর চরেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রশাসন। সেখানে স্থানীয় মানুষজনকে আনা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হবে ত্রাণ। শিশুদের জন্য টেডিবিয়ার, খেলনা। এলাকার বাসিন্দা আয়না সমাদ্দার, দ্বিজেন ঘুরিদের চোখে তখন স্বপ্ন। তাঁরা বলেই দেন, কিছু বলার নেই, দিদিকে সামনে থেকে দেখার জন্য এসেছি। নীলিমা ও পরমা সমাদ্দাররা বলেন, আমাদের ছেলেদের মাঠটা ঘিরে দিচ্ছে। দিদিকেই বলব। সবার যখন উৎসাহ তুঙ্গে তখন আকাশ কালো করে মেঘ ওঠে। প্রথমে প্রশাসন ছাতা দিয়ে ত্রিপল টাঙিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। বৃষ্টি বাড়তে থাকায় বন্যদুর্গতদের নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর যুব আবাসে। সিদ্ধান্ত হয় সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ দেবেন। মন ভারাক্রান্ত হয়ে আসে এলাকাবাসীর। এত কাছেও এসেও মানায় আসবেন না মুখ্যমন্ত্রী! প্রকৃতির প্রতিই তখন আক্ষেপ। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দুঃস্থদের বসতি সীতারামপুর মানায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে মানায় হাজির হন তিনি। মন্ত্রী আমলারা তাঁকে স্বাগত জানাতে যুব আবাসে অথচ তিনি হাজির গুরুপদ মণ্ডলের টিনের বাড়িতে। গুরুপদবাবুর মেয়ের খোঁজ নেন। গুরুপদবাবু বলেন, এই অভিজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এলাকার একদল যুবকের দাবি, আমাদের এলাকার কিছু সমস্যা মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই জানাতে চেয়েছিলাম। তিনি নিজে হাতে আমাদের আবেদনপত্র নিয়েছেন। উনি যে বৃষ্টিতে ভিজে হেঁটে আসবেন তা সত্যিই ভাবতে পারিনি। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে টেডিবিয়ার পেয়ে বৃষ্টির মাঝেই পাড়া মাথায় তুলেছে শিপ্রা সরকার, মোহিনী সিংরা। মেয়েদের শাড়ি থেকে ছেলেদের পাঞ্জাবী। চিড়ে, মুড়ি, তেল, বিস্কুট, ডাল সবই দেওয়া হয়েছে দুঃস্থ মৎস্যজীবীদের। বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অর্চিতা বিদরা বলেন, দিদির স্নেহ থেকে কেউ বাদ যায় না।