কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
১৯৯০সালে কাঁকসার পানাগড় বাজারে জোনাল কমিটির নিজস্ব এই শহিদ সুকুমার স্মৃতি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কণক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে নিরুপম সেন সহ বহু দাপুটে নেতাই এসেছেন এই অফিসে। বাম আমলে এই পার্টি অফিস চত্বর সর্বদাই গমগম করত। লোকাল কমিটির দাপটে তখন বিরোধীরা কোণঠাসা। রাজ্যে পালাবদলের পর পার্টি অফিসে ভিড় কমতে থাকে। অফিসের ভিতর এখনও দলীয় নেতৃত্বের ছবি রয়েছে। সেই অফিসটি এখন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা কল্পনা রায় বলেন, সিপিএম ক্ষমতায় থাকার সময় নেতা-কর্মীরা আসতেন। এখন প্রায় কেউ আসেন না বললেই চলে।
পার্টি অফিস একটি এনজিওকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেখানে কম্পিউটার শেখানো হচ্ছে। সিপিএম নেতা শেখ আব্দুল রহিম বলেন, জোনাল অফিসটি দলের কাজে এখন প্রয়োজন পড়ছে না। পাশের এরিয়া অফিস থেকেই কাজ চলছে। অফিস রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুতের খরচ রয়েছে। তাছাড়া ওই পাড়ায় বহু গরিব মানুষ বসবাস করেন। জলের ব্যবস্থা নেই। আমাদের অফিস থেকেই পাড়ার লোকজন জল নেন।
এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না দলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, দলীয় কর্মীদের পরিশ্রমের ফসল এই পার্টি অফিস। তা অন্য কাজে লাগানো উচিত নয়। এই সিদ্ধান্তে দলের সংগঠন বেআব্রু হল বলেই মনে করছেন তাঁরা। বিরোধীদের কটাক্ষ, একসময় বামেরা কম্পিউটার শিক্ষার বিরোধিতা করেছিল। আজ নিজেদের অফিসই ভাড়া দিতে হচ্ছে কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া সংস্থাকে। তৃণমূল নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, সিপিএম দলটাই এখন উঠে যাওয়ার অপেক্ষায়। একসময় যারা রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল তাদের নেতারা ওই অফিসে এসেছিলেন। ধর্মনিরপেক্ষ দল বলে দাবি করা বামেদের অফিসে এখন স্বস্তিক চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। তারা এখন ভগবানের কাছে আশ্রয় নিচ্ছে, একমাত্র তিনি যদি উদ্ধার করতে পারেন!