কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বিএসএফের কড়াকড়িতে গোরুপাচার এখন প্রায় বন্ধ। অবৈধ পারাপারও অনেক কমে এসেছে।তার পরিবর্তে মোটা টাকার বিনিময়ে ওপার বাংলায় পাচার হচ্ছে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ, মাদক, রুপো। আগে বাংলাদেশে রুপোর গয়না পাচার করা হতো। সেক্ষেত্রে বাড়তি ঝক্কি ছিল। এখন গয়নার পরিবর্তে রুপোর বল পাচার করছে কারবারিরা। তার জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে কাপড়ের তৈরি ওই কাস্টমাজড বেল্ট। আশেপাশের দর্জির দোকান থেকে তৈরি করা হচ্ছে কুঠুরিযুক্ত কাপড়ের বেল্ট। সেই বেল্টকে টাইট করে কোমরে বেঁধে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলছে রুপো পাচার।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধরণত আশেপাশের জেলা থেকে রুপো নিয়ে এনে সীমান্তের গ্রামগুলিতে জমা করা হয়। পরে সেই রুপো ওপার বাংলায় পাচার করা হয়। ব্যাগ বা অন্য কিছুর মধ্যে রুপোর বল পাচার করলে ঝক্কি বাড়ে। পরিবর্তে এই ধরণের কাপড়ের বেল্টের কুঠুরির মধ্যে রুপোর বলগুলি লুকিয়ে পাচার করলে সহজেই বিএসএফের নজর এড়ানো যয়।। সেই বেল্ট টাইট করে কোমরে বেঁধে নিলে অনেকক্ষেত্রে বোঝার উপায় থাকে না শরীরে কিছু লুকোনো রয়েছে কিনা। এরপর সাধারণ যাত্রীর মত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সেগুলি নিয়ে যাতায়াত করা যায়। গত ১১ জুন এই ধরণের বিশেষ এই বেল্টের মধ্যে বারো কেজি রুপো লুকিয়ে নদীয়ার রানাঘাট থেকে জলঙ্গিতে আসছিল এক পাচারকারী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জলঙ্গির সাহেবরমপুরে তাকে পাকড়াও করে জলঙ্গি থানার পুলিস। ধৃতের শরীরে ওই ধরণের বেল্টের মধ্যে লুকোনো ছিল বারো কেজি রুপো। টাকার বিনিময়ে এক কারবারির হাতে সেগুলি তুলে দেওয়ার বরাত নিয়েছিল সে। ফেব্রুয়ারি মাসেও ঠিক একই কায়দায় রানাঘাট থেকে জলঙ্গিতে রুপো নিয়ে আনার সময় যাত্রীবাহী বাস থেকে একজনকে পাকড়াও করেছিল জলঙ্গি থানার পুলিস। তার কাছে থেকেও প্রায় ১২ কেজি রুপোর বল ও প্রচুর নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিস। বিএসএফের দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর তারা বিভিন্ন সীমান্ত থেকে ২৯১ কেজি অবৈধ রুপো বাজেয়াপ্ত করেছিল। বিভিন্ন সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া রুপোর পরিমাণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে রুপোর পাচারে কিভাবে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাচারকারীরা। পুলিস ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঝক্কি এড়িয়ে রুপো পাচার করতে নিত্যনতুন পদ্ধতি বদলাচ্ছে রুপোর পাচারকারীরা। এই ধরণের কাপড়ের বেল্টের সেই পদ্ধতির নবতম সংযোজন।