কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
শুক্রবার সন্ধ্যায় পাঁচ বছরের শিশুপুত্রকে সঙ্গে নিয়ে ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের পাঁচগ্রামের বাসিন্দা রীনা খাতুন। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল মা ও শিশু। শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদ সীমানা লাগোয়া বীরভূমের নলহাটি থানার নাকপুর চেকপোস্টের কাছে জাতীয় সড়কের ধারে জমি থেকে তাঁদের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। দু’জনেরই পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তবে ঘটনাস্থলে কোনও রক্ত পড়ে ছিল না। মৃতদেহে শুকনো রক্ত থাকায় পুলিস নিশ্চিত হয়, অন্য কোথাও খুন করে গাড়িতে চাপিয়ে দেহ দুটি এখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বছর ছয়েক আগে প্রথমপক্ষের স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় রীনার। প্রথমপক্ষের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। এরপর মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার জুরানকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মহারাজ শেখকে ভালোবেসে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু মহারাজ রীনার প্রথমপক্ষের ছেলে ও মেয়েকে মেনে নিতে পারছিলেন না। এনিয়ে অশান্তির জেরে বছর খানেক আগে রীনাকে মৌখিকভাবে তালাক দেন মহারাজ। ফলে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন রীনা। তিনি বিড়ি বাঁধার কাজ করতেন।
মৃতার মামা কাইমুদ্দিন শেখের দাবি, কিছুদিন থেকে রীনার সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলে মহারাজ। কুরবানির পর থেকে তারা মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিল। মৃতার বাবা পেশায় দিনমজুর ফাইজুদ্দিন শেখের অভিযোগ, মহারাজই এই খুন করেছে।
কিন্তু পুলিসের সন্দেহ, দ্বিতীয় স্বামী তালাক দেওয়ার পর অন্য কোনও পুরষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে থাকতে পারে রীনার। এরই মাঝে দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে ওঠা ও বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি ওই প্রেমিক। তার জেরে এই খুন বলে পুলিসের অনুমান। তবে পুলিস দ্বিতীয় স্বামীকে সন্দেহের বাইরে রাখছে না। পুলিস জানিয়েছে, খুনের তদন্তে মহারাজকেও জেরা করা হবে। পুলিস কিছুটা হলেও নিশ্চিত, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই খুন। মৃতার আত্মীয়রাও পুলিসের এই দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে তার আগে পুলিস জানতে চাইছে, রাতের অন্ধকারে কারা জাতীয় সড়কের ধারে দেহ দু’টি ফেলে গেল। ইতিমধ্যে সড়কে থাকা বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিস। তারা জানিয়েছে, গাড়ির ভিতরেই এই খুন হয়ে থাকতে পারে। পরে পরিচয় লোপাটের জন্য এখানে এনে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে।