কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের তিনটি পর্যায়ে সার্বিক মূল্যায়ন হবে। সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা কত নম্বর পেল, সেই বিষয়টি তো রয়েইছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া সামাজিক ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষেত্রে আট বছরে ক্রমান্বয়ে কতটা উন্নতি করছে, সেগুলিও উল্লেখ থাকবে হোলিস্টিক প্রোগ্রেস রিপোর্ট কার্ডে। এছাড়াও থাকবে শিক্ষা পোর্টালে ওই পড়ুয়ার ক্রমাঙ্ক, আধার নম্বর, ব্লাড গ্রুপ, বাবা মায়ের নাম, ঠিকানা, স্কুলের যাবতীয় তথ্য। সবমিলিয়ে পঠন পাঠনের মাধ্যমে জ্ঞান বিকাশের পাশাপাশি একটি রিপোর্ট কার্ডেই কোনও পড়ুয়ার দৈহিক, মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশের যাবতীয় তথ্য লিপিবদ্ধ থাকবে। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলার প্রাথমিক ও হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। রানাঘাট লালগোপাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ সরকার বলেন, ‘সাধারণত ছোটবেলার রিপোর্ট কার্ড আমরা হারিয়ে ফেলি। কিন্তু এবার থেকে সেটা হবে না। আট বছরে ছাত্র-ছাত্রীদের কতটা বিকাশ হল, তা একটি রিপোর্ট কার্ডেই থাকবে। ফলে মাধ্যমিকের পর কোনও পড়ুয়া কোন দিকে ঝুঁকবে, খুব সহজেই শিক্ষকরা বুঝতে পারবেন।’
জানা গিয়েছে, হোলিস্টিক প্রোগ্রেস রিপোর্ট কার্ডে পড়ুয়াদের আত্ম সচেতনতা, যোগাযোগের ক্ষমতা, সমবেত চিন্তন, সমস্যা সমাধানের সমর্থক, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, সৃজনশীল দক্ষতা, নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, নান্দনিক বোধগম্যতার মত বিষয়গুলি তুলে ধরা হবে। রানাঘাট-২ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মৃণাল বিশ্বাস বলেন, ‘পুঁথিগত বিদ্যা ছাড়াও পড়ুয়াদের সামগ্রিক বিকাশে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কতটা ভূমিকা রয়েছে, সেটাও জানা যাবে এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে। এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই বলছেন, শুধুমাত্র সিলেবাসকেন্দ্রিক পড়াশোনাই তো যথেষ্ট নয়। বহু পড়ুয়ার মধ্যে যে সুপ্ত প্রতিভা লুকিয়ে থাকে, অনেক সময় তা অচিরেই নষ্ট হয়ে যায়। সন্তানের ভবিষ্যৎ কোনদিকে উজ্জ্বল, এই পদ্ধতিতে স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন অভিভাবকেরা। জানা গিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত পড়ুয়াদেরই এই রিপোর্ট কার্ড দেওয়া হবে। তবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে শুধুমাত্র প্রথম শ্রেণির পড়ুয়ারাই পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে রিপোর্ট কার্ড পাবে।