কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, বোলপুর পুরসভায় যে ক’টি প্রধান সমস্যা রয়েছে, তার মধ্যে পানীয় জলের সমস্যা অন্যতম। বিশেষত, গরমকাল এলেই শহরের প্রায় সর্বত্র ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। এমনকী, পানীয় জলের জন্য বাসিন্দাদের ঝগড়া করতেও দেখা যায়। ২০১৭-১৮ সাল নাগাদ এই সমস্যা সমাধানে তৎপর হয় বোলপুর পুরসভা। বিষয়টি রাজ্য সরকারের আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার্স দপ্তরকে জানানো হয়। তার জন্য পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্টও (ডিপিআর) তৈরি করে। তার ভিত্তিতে বোলপুর-শান্তিনিকেতনের গুরুত্ব বুঝে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার অনুমোদন দেয়। এরপর গত এপ্রিল মাস থেকে জোর কদমে শুরু হয়েছে জলপ্রকল্পের কাজ। এর জন্য শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হবে মোট পাঁচটি ওভারহেডেড রিজার্ভার। প্রাথমিকভাবে বোলপুরের জামবুনি, উত্তর নারায়ণপুর, সুঁড়িপাড়া, শ্যামবাটি এই চার জায়গায় রিজার্ভার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া আরও একটি রিজার্ভার শান্তিনিকেতন থানার এক নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ফুলডাঙায় বসার কথা। মূলত, শহরের দু’প্রান্তে বয়ে যাওয়া অজয় ও কোপাই নদীর জলের উৎস থেকে এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। এই দুই নদীর তীরবর্তী মোট ৫৭টি জায়গা থেকে গভীর নলকূপের (এক একটির গভীরতা হবে প্রায় ৪৩০ মিটার) মাধ্যমে জল তোলা হবে। সেই জল সরাসরি এসে পৌঁছবে মোট পাঁচটি রিজার্ভারে। এই কাজের মাঝে শহরের ৩৫.৫২ কিলোমিটার জুড়ে বসানো হবে পাইপলাইন। নলকূপ থেকে রিজার্ভারে আসার পর সেই জল ফিল্টারাইজেশন বা পরিস্রুতকরণ সম্পূর্ণ হলে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে। পুরসভার ১০০ শতাংশ পরিবারকে এই জলপরিষেবা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে বোলপুরবাসীকে আর পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে ভাবতে হবে না। প্রতিদিনই পাইপলাইনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পানীয় জল বাড়িতে পৌঁছে যাবে। এর জন্য বাড়ি বাড়ি বসানো হবে মিটার। তবে নির্দিষ্ট ইউনিটের পর জল খরচ হলে, গুনতে হবে গাঁটের কড়িও। কারণ জলের অপর নাম জীবন। তা যাতে অপচয় না হয়, সেজন্যই প্রাথমিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শহরবাসী।