কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারে। ওরা দীর্ঘদিন ধরেই আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখে গরিব পরিবারগুলিকে শায়েস্তা করতে চাইছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের পাশে রয়েছেন। তিনি যা বলেন সেটাই করেন। তাই আবাস যোজনার উপভোক্তাদের চিন্তার কারণ নেই। তাঁরা টাকা পেয়ে যাবেন।
খণ্ডঘোষের শশঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ববি শেখ বলেন, ভারী বৃষ্টি হলে বাড়িতে পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে থাকতে ভয় করে। মনে হয় যে কোনও সময় বাড়ি ধসে যাবে। মাথার উপর পাকা ছাদ থাকলে সেই চিন্তা থাকত না। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর বর্ষার সময় রায়নায় দেওয়াল ভেঙে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। গলসি থানা এলাকায় চারজন জখম হয়েছিলেন। একাধিক জায়গায় বাড়ি ভেঙে পড়লেও কেন্দ্রের হেলদোল নেই। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতির কারণেই উপভোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। বহু গরিব পরিবারের নাম আবাস যোজনার তালিকায় ছিল না। অথচ যাঁদের পাকাবাড়ি রয়েছে, তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ কয়েকদিন আগে বলেন, তৃণমূল সবকিছুর হিসেব দিলে কোনও সমস্যাই হতো না। এতগুলি পরিবারকে কষ্ট করে থাকতে হতো না। এরজন্য তৃণমূলই দায়ী। ওদের দুর্নীতির জন্যই এসব হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা দিতে কোনও সমস্যা নেই।
তৃণমূল নেতা দেবু টুড বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল একাধিকবার রাজ্যে ঘুরে গিয়েছে। তারা কোনও খুঁত পায়নি। তারপরও স্রেফ বাংলাকে বঞ্চনা করার জন্যই ওরা টাকা আটকে রেখেছে। এর জবাব বাংলার মানুষ ইভিএমে দিয়েছেন। ৪ জুনের পর ওরা সর্ষে ফুল দেখবে। ওদের সরকার আর গড়তে হবে না।