অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
এবার লোকসভা নির্বাচনে অধীরকে কঠিন চ্যালেঞ্জর মুখে ফেলে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রণকৌশল। রাজনীতিতে একেবারের আনকোরা ক্রিকেট তারকা ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছিলেন বহরমপুরে। তিনি রাজনীতির পিচেও জোরদার ফাইট করবেন, সেটা প্রচারে বেরিয়ে সম্ভবত টের পেয়েছিলেন পোড়খাওয়া রাজনীতিক অধীর। তাই হয়তো বলেছিলেন, ‘এবার পরাজিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।’ এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা খুব শীঘ্রই ঘোষণা করবেন। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার জন্য তিনি কোনও অজুহাত খাড়া করেননি। অধীরবাবু বলেন, ‘ভোট ঠিকঠাকই হয়েছিল। আমাদের চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না। নির্বাচন মানুষের মতামতের উপর নির্ভর করে। পাঁচ বার পরপর জিতেছিলাম মানুষের দয়া-দোয়া আশীর্বাদ ও সহযোগিতা ছিল। এবার মানুষ মনে করেছে, হারানো দরকার। তাই হারিয়েছেন। আমার কোনও অভিযোগ নেই। আমি তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাজিত।’ হেরে গেলেও বাংলার রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুলেছেন অধীর। তিনি বলেছেন, ‘দেখবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি, নির্বাচন ক্রমশ একটা সাম্প্রদায়িক বিভাজনের পথে এগিয়ে চলেছে। উদার ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির জন্য পশ্চিমবঙ্গ ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এখানে একদিকে সাম্প্রদায়িক বিভাজন হয়। আর অন্যদিকে প্রলোভন। অর্থাৎ, টাকা-পয়সা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আমরা পড়ে গেছি মাঝখানে।’
অধীরের এই ব্যাখ্যার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার (ডেভিড)। তিনি বলেন, ‘অধীরবাবু যে ভোটটা পেয়েছেন তাঁরাও কোনও না কোনও ধর্মের মানুষ। বহরমপুরের মানুষকে বোকা ভাববেন না। এই ভোট ধর্ম দেখে হয়নি। এই ভোট ছিল ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করার ভোট। ঐক্যের ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোটা রাজ্য এবং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মুর্শিদাবাদের মানুষ সর্বত্রই আমাদের দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে দেশ জুড়ে কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটের বাকি প্রার্থীরা জয়ী হচ্ছেন। এটা একটা সুখবর সারা ভারতবর্ষের জন্য। আমরা তো বলেছিলাম এক্সিট পোল মোদিকে ৪০০-৫০০ করে দিয়েছিল। পরদিন দেশের কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়ে দেয়, আমরা ২৯৫টা পাচ্ছি। সেদিনই বলেছি মিডিয়ার মিথ্যা কথায় মানুষ যেন প্রভাবিত না হয়। ওরা মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল। উত্তর প্রদেশ যেখানে রাম মন্দির তৈরি করে মোদি ভারতবর্ষেকে পথ দেখাল, সেখানেই বিজেপির পরাজয় হল। ভারতবর্ষে ধর্মনিরপক্ষ মানুষের কাছে অত্যন্ত শুভ বার্তা এটা।’ এদিন অধীরবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, তৃণমূলের সঙ্গে আপনাদের একটা জোট হওয়ার কথা চলছিল। এখানে জোট হলে কি ভালো হতো? উত্তরে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের সঙ্গে আমাদের জোট হওয়ার কথা কোনও দিন চলেনি। তৃণমূল ভিক্ষা দিচ্ছিল। আমরা সেটা মানিনি। এটা নিয়ে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বকে জিজ্ঞেস করবেন।’