অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল অল্প ভোটে জয় লাভ করেছিল। একুশের বিধানসভা ভোটে আরামবাগ মহকুমার চারটি বিধানসভা বিজেপি দখল করে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই চব্বিশের নির্বাচনে এই কেন্দ্রটি বিজেপির ‘সেফ সিট’ বলে মনে করেছিল। প্রায় সব সমীক্ষাতেই বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগারকে এগিয়ে রাখে। তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মিতালিদেবীর নাম ঘোষণার পর ‘আরামবাগ উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হল’ বলে বিজেপি তরফে দাবি করা হয়েছিল। এই কেন্দ্রে দু’-দুবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রচারে আসেন। তারপর বিজেপির সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের তরফে এক লক্ষ ভোটে জয়ের দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু, মানুষ ভোটবাক্সে সব হিসেব উল্টে দিয়েছে।
মঙ্গলবার ভোট গণনার প্রথম রাউন্ড থেকেই তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে যান। গণনা যত এগিয়েছে ভোট প্রপ্তির মার্জিন তত বেড়েছে। হরিপাল, চন্দ্রকোণা, তারকেশ্বরে প্রায় প্রতিটি রাউন্ডের গণনায় তৃণমূল এগিয়ে থেকেছে। আরামবাগ, পুরশুড়ায় সমানে সমানে লড়াই হয়েছে। সপ্তম রাউন্ডের পর খানাকুল ও গোঘাট বিধানসভা কেন্দ্রেও বেশ কয়েকবার ভোট প্রাপ্তিতে অরূপকান্তি দিগারকে পিছনে ফেলে দেন মিতালিদেবী। ত্রয়োদশ রাউন্ডের পর অবশ্য দুই প্রার্থীর মার্জিন ক্রমাগত কমতে থাকে। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের ভিতর যা নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়। তবে শেষ পর্যন্ত মিতালিদেবী ৬৩৯৯ ভোটে জিতে শেষ হাসি হাসেন। হরিপাল থেকে প্রায় ৩২ হাজার ভোটে লিড নেওয়ায় আরামবাগ কেন্দ্রে তৃণমূলকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দেয়।
জয় নিশ্চিত হতেই আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায় ও অবজার্ভার শান্তনু সেন গণনাকেন্দ্রে আসেন। শান্তনুবাবু বলেন, এই জয় আরামবাগের সকল মানুষের জয়। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বাংলার মহিলাদের যেভাবে অসম্মান করা হয়েছে, তা কেউ মেনে নেয়নি। ভোটবাক্সে মা বোনেরা তার জবাব দিয়েছেন। সামনের দিনে তৃণমূল সরকার আরও বেশি করে উন্নয়নের কাজে শামিল হবে। মিতালিদেবী বলেন, জয় নিয়ে নিশ্চিত ছিলাম। প্রচারে যেখানে গিয়েছি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। বিজেপি আমার বিরুদ্ধে নানা কু্ৎসা অপপ্রচার করেছে। গাড়ি ভাঙচুর করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে এই লড়াইয়ে নেমেছিলাম। এই জয় আরামবাগের সকল মানুষের, সকল মা বোনেদের। আরামবাগবাসীর দাবি দাওয়া এবার সংসদে তুলে ধরতে চাই। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, মানুষ আমাদের ফের কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। সেই দায়িত্ব নিষ্ঠাভরে পালন করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, হরিপালে ওরা বড় মার্জিনে লিড পাওয়ার ফলে এই কেন্দ্রে আমাদের অল্প ব্যবধানে পরাজয় হয়েছে। সামনের দিনে ভুল ত্রুটি শুধরে আমরা এগিয়ে যাব। জয়ের পর তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ।-নিজস্ব চিত্র