অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, জেলায় বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা, জেলা নেতৃত্বের ‘দাম্ভিক’ আচরণ ও অহংকার তাদের এই ভরা ডুবির অন্যতম কারণ। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতাদের একাংশের মতে, জেলা সভাপতির নেতৃত্ব অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। এমনকী ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে তাদের প্রার্থী মনোনয়নেও যথেষ্ট বিলম্ব হয়। বেগতিক দেখে দলের পূর্বতনে জেলা সভাপতিকে প্রচারের ময়দানে নামানো হয়। তাতেও ভোটারদের মনে খুব একটা দাগ কাটতে পারেনি বিজেপি। এলাকার বাসিন্দারা বুঝতে পারেন বিজেপির প্রার্থী প্রণত টুডু দলবদলু এক নেতার মনোনীত প্রার্থী। তাতে আদি বিজেপির একাংশ বেঁকে বসে। গোপীবল্লভপুর ও গড়বেতা এলাকায় বিজেপির প্রার্থী আক্রান্ত হলেও জেলা নেতৃত্বের গায়ে কোনও আঁচড় পড়েনি। তা নিয়েও দলের মধ্যে চর্চা শুরু হয়। ঘনিষ্ঠ মহলে বিজেপির এক জেলা নেতাকে বলতে শোনা যায়, তাদের প্রার্থী দলের মণ্ডল নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করেই সামাজিক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে নিজের মতো প্রচার শুরু করেছিলেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে ঝাড়গ্রামের সভার আয়োজন করে বিজেপি। তবে ঝাড়গ্রামে নির্বাচনী সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জঙ্গলমহলের সমস্যার কথা বা প্রার্থীকে নিয়ে তেমন বক্তব্য না রাখায় মর্মাহত হন এলাকার বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই ভোটে তার যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। এমনকী প্রচারের শেষ বেলায় বিজেপির প্রার্থী কাউকে সঙ্গে না পেয়ে ‘অসুস্থ’ হয়ে বাড়িতে শুয়ে থাকেন। প্রচারে শেষ বিকেলে জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে দায়সারা মঞ্চ করেন ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড়ে। তবে এসব যুক্তি মানতে নারাজ বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। এই নিয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত রায় বলেন, দলীয় কোন্দল বা সাংগঠনিক দুর্বলতা কোনও কিছুই নেই। আমাদের সব ঠিক আছে। মানুষ যা রায় দিয়েছেন তা মাথা পেতে নিতে হবে। দলের নির্দেশ এলে এই পরাজয় নিয়ে পর্যালোচনায় বসা হবে। ১০০ ভাগ সংগঠন থেকে যা করার সবই করা হয়েছে। মানুষের রায়ে এই পরাজয় তা মাথা পেতে নেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির বর্ষীয়ান এক নেতা বলেন, শুধু ঝাড়গ্রামের জেলা সভাপতিকে দোষ দিয়ে কী লাভ। গোটা রাজ্যেই তো বেহাল অবস্থা। নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির পুরনো কর্মী ছিলেন না। ভাড়া করার সৈন্য দিয়ে যুদ্ধ জয় করা যায় না, ঘর ভরানো যায়। রাজ্য নেতৃত্বের জন্য এই পরাজয় হয়েছে। তা মাথা পেতে নিতে হবে। ঝাড়গ্রামে ফাঁকা বিজেপির ক্যাম্প।-নিজস্ব চিত্র