অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের উপদেশ আমরা সবসময় মাথায় রেখেছি। তাঁর দেখানো পথে হেঁটেই আমরা সাফল্য পেয়েছি।
এবার লোকসভা ভোটে মঙ্গলকোটে ৪৬৭০০, কেতুগ্রামে ৪৫ হাজারের বেশি ও আউশগ্রামে ৩৩ হাজারের বেশি ভোটে লিড পেল শাসকদল। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে শাসকদলের যা লিড ছিল, এবার সেটাও ছাপিয়ে গিয়েছে। সেবার মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী ২২৩৩৭ ভোটে লিড পেয়েছিলেন। কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ ১২৬৮৩ ভোটে লিড পান। আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার ১১৩৯২ ভোটে লিড পেয়েছিলেন।
এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র আগে দেখতেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এবার ভোটে তিনি জেলায় নেই। অনুব্রতহীন তিন বিধানসভায় শাসকদলের কোন্দলও বেড়েছিল। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি প্রার্থী তিন বিধানসভা কেন্দ্রের মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করল তৃণমূলই। অনুব্রতহীন এই তিন বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব যথেষ্ট চিন্তিত ছিল। একাধিকবার তিন বিধানসভা কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠক করেছিল। আউশগ্রামে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেছিলেন। মঙ্গলকোটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেছিলেন। কেতুগ্রামে মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন বীরভূমের জেলা পরিষদ সভাধিপতি কাজল শেখ। তিনি অঞ্চল ধরে ধরে বৈঠক করেছিলেন। তাতেই এমন সাফল্য এসেছে বলে তৃণমূল নেতারা মনে করছেন। আউশগ্রাম বিধানসভার মধ্যে গুসকরা শহরে এবারও ৫০০ ভোটে শাসকদল পিছিয়ে পড়েছে। তবে পুরো বিধানসভা কেন্দ্রের নিরিখে লিড ছিনিয়ে নিতে তাদের অসুবিধা হয়নি। গুসকরা শহরের এক তৃণমূল নেতা বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আউশগ্রামে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, লিড না পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাতেই এই বিধানসভা এলাকায় কাজ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। জয়ের পর কাটোয়া শহরের তৃণমূল কর্মীদের মিষ্টিমুখ।-নিজস্ব চিত্র