অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
২০১৯ সালের নির্বাচনে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপি ২৮৩৯ ভোটে জয়ী হয়েছিল। এবার সেই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী প্রায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন। বর্ধমান পূর্বে ২০১৯ সালে তৃণমূল ৮৮হাজার ৩১১ ভোটে জয়ী হয়। এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূল এক লক্ষ ২০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছে। তৃণমূলের জয়ী দুই প্রার্থী এই ফলাফলের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ও মহিলাদের ক্রেডিট দিয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ বলেন, দিদি মায়েদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। মায়েরাও আমাদের নিরাশ করেননি। দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন। বিজেপি প্রার্থী মহিলাদের অসম্মান করেছিলেন। তার জবাব মায়েরা দিয়েছেন। বর্ধমান পূর্বের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বলেন, মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি। তাদের জন্য কাজ করব।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বর্ধমান পূর্বের ফলাফলের আভাস অনেক আগে থেকেই ছিল। প্রথম থেকে তৃণমূল এই কেন্দ্রে এগিয়েছিল। কিন্তু, বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের ফলাফল অনেকেই তাজ্জব। বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল এই কেন্দ্রে অল্প ভোটে জেতার প্রত্যাশা করেছিল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই ধরে নিয়েছিল। কিন্তু, এই কেন্দ্রেও অবলীলায় বিজেপিকে তৃণমূল উড়িয়ে দিয়েছে। যে সব এলাকায় তুলনামূলকভাবে খারাপ ফল হবে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব ধরে নিয়েছিল সেখানেও শাসক দল বাজিমাত করেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্যই এমন ফলাফল সম্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। এছাড়া বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের নানা সময়ে করা মন্তব্য শিক্ষিত মহলে প্রভাব ফেলেছিল বলে অনেকেরই দাবি। দিলীপবাবু এদিন বলেন, মানুষের রায় মেনে নিতে কোনও অসুবিধা নেই।
বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী অসীম রায় কবি গানের মাধ্যমে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেন। সেটাও অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি। তারও প্রভাব পড়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। এদিন ভোটের ফলাফল বেরনোর পর বিজেপি প্রার্থী বলেন, জনগণের রায় সবার উপরে। তা মানতেই হবে।
সকাল থেকেই তৃণমূলের জয়ের আভাস পাওয়ার পরই কর্মী সমর্থকরা গণনা কেন্দ্রের বাইরে উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন। দুপুর থেকে আবির খেলা, মিষ্টিমুখ চলতে থাকে। বাজনার তালে তালে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা কোমর দোলাতে থাকেন। দুই গণনা কেন্দ্রের বাইরে শাসক দলের তরফে ক্যাম্প করা হয়েছিল। সেখানে স্বপন দেবনাথ, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ মজুমদারের মতো নেতারা উপস্থিত ছিলেন। খোকন দাস সহ অন্যান্য বিধায়করাও হাজির ছিলেন।