অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
এদিন সকালেই বাঁকুড়ার সতীঘাট এলাকায় মন্দিরে পুজো দেন অরূপবাবু। তারপর তিনি গণনা কেন্দ্রে আসেন। গণনা শুরু করিয়ে তিনি ক্যাম্পে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি বাড়ি চলে যান। সেখান থেকেই ভোটের ফলাফলে নজর রাখছিলেন। ব্যবধান তাঁকে জয়ের দিকে ঠেলে দিতেই ফের ৩টে ১৫ নাগাদ গণনা কেন্দ্রে আসেন। ততক্ষণে ১৩ রাউন্ড গণনা হয়ে গিয়েছে। গণনা কেন্দ্রের ভিতরে গাড়ি থেকে নামতেই কর্মীদের শুভেচ্ছা ও জয় বাংলা স্লোগানে ভাসেন অরূপবাবু। দলীয় এজেন্টরা তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। একইসঙ্গে অরূপবাবুও তাঁদের সঙ্গে খোশ মেজাজে কথা বলেন। কিছু পরে সেখান থেকে চলে গিয়ে ফের একটি সুসজ্জিত গাড়িতে চড়ে গণনা কেন্দ্রে আসেন।
এদিন গণনা শুরুর পর থেকেই অরূপবাবুর লিড নিতে থাকেন। চতুর্থ রাউন্ডে ১৩ হাজার ৫২৮ ভোটে লিড হয়। সময় যত গড়িয়েছে লিড তার বেড়েছে। ১২ তম রাউন্ডে অরূপবাবু এগিয়ে যান ২২ হাজার ৯১২ ভোটে। শেষমেশ তিনি ৩২ হাজার ৭৭৮ ভোটে জয়লাভ করেন। তাঁকে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেন বাঁকুড়ার জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক সিয়াদ এন।
তৃণমূল সুপ্রিমোকে বাঁকুড়া উপহার উপহার দিতে পেরে খুশি অরূপবাবু। এই জয়ের কৃতিত্ব তিনি বাঁকুড়ার মানুষ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দিয়েছেন। অরূপবাবু বলেন, এই জয় বাঁকুড়ার মানুষের। বঞ্চনার জবাবে নারী শক্তির জয়। জঙ্গলমহলের জয়। এই লড়াই কঠিন ছিল। সাবোতাজ ছিল। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ আমার মাথার উপর ছিল। নিন্দুক ও বেইমানদের পরাজয় হয়েছে। বাঁকুড়ার আসনে যে আমি জিতব সেই আশা ছিলই। তবে মার্জিন লক্ষাধিক হবে আশা করেছিলাম। সেই ব্যবধান হল না। সুভাষবাবু বলেন, নির্বাচনে জয় পরাজয় আছেই। এবারের ফলাফল অনভিপ্রেত। এই ফলাফলের কারণ আমরা দলীয়ভাবে পর্যালোচনা করব। তবে ইভিএম চেঞ্জের দু’টি অভিযোগ আমরা করেছি।
উল্লেখ্য, রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী মুনমুন সেন বাঁকুড়ায় বাম দুর্গে ধস নামিয়ে জেতেন। ২০১৯ সালে সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রার্থী হলেও সেবার আসনটি হারায় তৃণমূল। সুভাষ সরকার জিতে প্রতিমন্ত্রী হন। কিন্তু, এবার সেই হারানো আসনই ফেরত নিল জোড়াফুল শিবির। এবার বাঁকুড়ায় সিপিএম এক লক্ষ পাঁচ হাজার ৩৫৯টি ভোট পেয়েছে।