অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
খলিলুর বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার উপরে দ্বিতীয়বার আস্থা রেখেছিলেন। জঙ্গিপুরবাসী আমাকে ফের তাঁদের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এবার আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করব। এছাড়া, বিড়ি শ্রমিক, গঙ্গা ভাঙন রোধ সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ জোর দেব।
এক লক্ষের বেশি ব্যবধানে দ্বিতীয়বার জয় ছিনিয়ে নিলেন খলিলুর। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের মর্তুজা হোসেন বকুল। যদিও খলিলুরের জয়রথ থামাতে কোমর বেঁধে নেমেছিল বিরোধীরা। সূতির বিধায়ক ঈমানি বিশ্বাসের দাদা তথা শিল্পপতি সাজাহান বিশ্বাস আইএসএফের প্রার্থী হন। এছাড়া সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের এক আত্মীয় আসাদুল বিশ্বাস নির্দল প্রার্থী হন। খলিলুর রহমানের ভোট কাটতে তাঁদের প্রার্থী করা হয় বলে গুঞ্জন ছড়ায়। যদিও শেষ হাসি হাসেন খলিলুর রহমানই। বেলা সাড়ে দশটায় প্রথম রাউন্ডের গণনায় ৪৩ হাজার ভোট পান খলিলুর। প্রথম রাউন্ডে ১৫ হাজার, দ্বিতীয় রাউন্ডে ১১ হাজার, তৃতীয় রাউন্ডে ৪০ হাজার ও পঞ্চম রাউন্ডে ৫২ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে যায় ঘাসফুল শিবির। তারপর থেকেই তৃণমূল শিবিরে উচ্ছ্বাস বেড়েছে। জয় যত নিশ্চিত হয়েছে, ততই কর্মী ও সমর্থকরা একে অপরকে আবীর মাখিয়ে ব্যান্ডের তালে তালে নেচে আবেগে ভেসেছেন।
এবারের ভোটে আইএসএফ বা নির্দলের আসাদুল মাত্র কয়েক হাজার ভোট পেয়েছে। এ বিষয়ে খলিলুর রহমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যাঁরা হাতে গোনা ভোট পেয়েছেন, তাঁরা আমার জয়ের পথে কোনও বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি।
সাগরদিঘি ব্লক থেকে প্রায় ৩০ হাজার ভোটে লিড পায় তৃণমূল কংগ্রেস। কার্যত গণনা কেন্দ্রের মধ্যেই আনন্দে ফেটে পড়েন সাগরদিঘির সমর্থকরা। সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নুরে মেহবুব আলম বলেন, সাগরদিঘি মডেলেই ভোট হয়েছে। এলাকার মানুষ বাইরন বিশ্বাস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে আস্থা রেখেছেন। বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন জনতার রায় শিরোধার্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের যে দিশা দেখিয়েছেন সেই পথেই চলব।