অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
জয়ী হওয়ার পর কালীপদবাবু বলেন, এত মার্জিনে জয় পেয়ে খুব খুশি। এই জয় এখানকার সাধারণ মানুষের জয়। মানুষের কথা সংসদে তুলে ধরব। এদিন পরাজয়ের পর বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্বলতার জন্য আমরা এগতে পারিনি। জনগণের রায় মেনে নিতে হবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, এটা মানুষের জয়। আমরা আগে থেকেই বলেছিলাম মানুষ উন্নয়নের পক্ষে রায় দেবে। জেলার প্রতিটি নেতা- কর্মী খুব পরিশ্রম করায় জয় নিশ্চিত হয়েছে। পাশে থাকার জন্য সকলকে অনেক ধন্যবাদ। আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আরও ভালো কাজ করতে হবে।
একসময় এই জেলায় বিজেপির সংগঠন বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। জঙ্গলমহলজুড়ে মোদি হাওয়া শুরু হয়। সেইসময় বহু কর্মী-সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। যার ফলস্বরূপ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাজিমাত করে বিজেপি। প্রায় ১২ হাজার ভোটে জয়ী হন বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। জঙ্গলমহলের এই কেন্দ্র দিল্লিকে উপহার দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে খুশি করে জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু বুথস্তরে সংগঠন মজবুত করতে কোনও কাজই করা হয়নি। যা জানতে পারেনি দিল্লির নেতৃত্ব। এর ফলে একুশের বিধানসভা নির্বাচন, বাইশের পুরসভা নির্বাচন ও গতবছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির রথ মুখ থুবড়ে পড়ে। বাদ গেল না এবারের লোকসভা নির্বাচন। সংগঠন মজবুত না করার মাশুল ফের গুণতে হল গেরুয়া শিবিরকে। এদিন সকাল থেকেই গণনায় এগিয়ে থাকেন তৃণমূল প্রার্থী।
জেলা বিজেপির এক নেতা বলেন, প্রচারে অনেক এগিয়ে ছিল তৃণমূল। প্রার্থী ছাড়া প্রচার হয়নি। আসলে ২০১৯ সালে জয়ের মূল কাণ্ডারীরা একেবারে বসে গিয়েছেন। তাঁদের ময়দানে নামানো হয়নি। যা আমাদের হারের অন্যতম কারণ। একইসঙ্গে নেতৃত্ব সংগঠন গোছাতে পারেনি। যার ফল ভুগতে হল। বিজেপির বিদায়ী সাংসদ কুনার হেমব্রম বলেন, সংগঠনের সমস্যা নিয়ে অনেক আগে থেকেই কথা বলছি। কিন্তু সংগঠন মজবুত করতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তা না হলে এমন হাল হতো না।