অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
এবার লোকসভার ভোট গণনার শুরু থেকেই তৃণমূল টেনশন মুক্ত ছিল। কারণ, প্রথম রাউন্ডের ফল বেরতেই দেব এক ধাক্কায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে যান। তারপর থেকে তাঁর ব্যবধান ক্রমশ বাড়তেই থাকে। রাউন্ডের সংখ্যা যত বাড়তে থাকে, দেবের জয়ের ব্যবধানও তত লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে যায়। শেষ রাউন্ডের মাথায় সেটা এক লক্ষ ৮২ হাজারের গায়ে পৌঁছে যায়। তাই প্রথম কয়েক রাউন্ডে ঘাটালের গণনা কেন্দ্রের বাইরে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের ভিড় থাকলেও ক্রমে ক্রমে তা ফিকে হতে শুরু করে। অন্যদিকে তৃণমূলের শিবিরে দলীয় কর্মী, সমর্থক ও নেতাদের ভিড় উপচে পড়তে শুরু করে। বাজনা, পটকা এবং স্লোগানের উল্লাসে শুরু হয় কর্মী ও সমর্থকদের নাচ।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় পাঁশকুড়া পশ্চিম এবং ডেবরা বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল পিছিয়েছিল। পরে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ঘাটাল বিধানসভা আসনটিতেও বিজেপি জয়লাভ করে। কিন্তু এবার তৃণমূল সাতটি বিধানসভা এলাকাতেই এগিয়ে রয়েছে। ঘাটাল বিধানসভা এলাকা থেকেও এবার তৃণমূল ৪৪০৫ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে যায়। সবচাইতে বেশি ভোট লিড দিয়েছে কেশপুর বিধানসভা। কেশপুর বিধানসভা এলাকা একাই লিড দিয়েছে এক লক্ষ ৬১৮। তবে পুরসভা ভিত্তিক ফলাফলে ঘাটাল পুরসভা এলাকায় বিজেপি তৃণমূলের থেকে ২০০ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে এবং বিরোধী শূন্য ঘাটাল পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটি ওয়ার্ড বিজেপি তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। দেব বলেন, আমাদের রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প সহ অসংখ্য জনমুখী প্রকল্পের ফলেই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দারা দু’হাত ভরে ভোট দিয়েছেন। দেবের কথার সঙ্গে বাস্তবের যে মিল রয়েছে, তা প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝাযায়। এবার মোট ভোটারদের মধ্যে মহিলা ভোটারদের সংখ্যা কম হলেও তাঁদের মধ্যে এবার পুরুষদের থেকে মহিলারাই বেশি ভোট দিয়েছেন। এবার আট লক্ষ ১৩ হাজার ৭৭৬ জন মহিলা ভোট দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলও মনে করে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই এবার মহিলারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে মন উজাড় করে ভোট দিয়েছেন। এছাড়া দেবের জয়ের ব্যবধান বেড়ে যাওয়ার পেছনে আরও একটি কারণ রয়েছে. কেন্দ্রীয় সরকারের মুখাপেক্ষী না হয়েই রাজ্যের টাকায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রতিশ্রুতি।