অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
যদিও ছাপ্পা ভোট দিয়ে তৃণমূল জিতেছে বলে দাবি করলেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা। সেই বিতর্কে না গিয়ে জেতার পরেও অত্যন্ত সংযমী তৃণমূল প্রার্থী। অসিতবাবু তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, নির্বাচনের জেতা-হারা তো মানুষের হাতে। হারলেও ওকে শুভেচ্ছা জানাই। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই জয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধারণ মানুষের জয়। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জয়।
লোকসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই বীরভূম জেলার দু’টি কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর জয় নিয়ে নিশ্চিত ছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এক্সিট পোল নিয়ে রাজ্যে কিছুটা শোরগোল পড়লেও বীরভূমের দুই প্রার্থী শতাব্দী রায় ও অসিত মাল জয় নিয়ে নিশ্চিন্তেই ছিলেন। এদিন গণনার শুরু থেকেই এগিয়েছিলেন অসিতবাবু। একবারের জন্যও টেক্কা দিতে পারেননি পিয়াদেবী। প্রথম রাউন্ডেই তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে যান ১৩ হাজার ১৬৭ ভোটে। বেলা ১২টা নাগাদ ষষ্ঠ রাউন্ডে ১ লক্ষ ভোটের ব্যবধান হতেই তৃণমূলের জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর বোলপুর লোকসভার বিভিন্ন প্রান্তে কার্যত সবুজ আবিরের চাদরে ঢেকে যায়। বোলপুর পুরসভার বিভিন্ন প্রান্তে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন কাউন্সিলার থেকে কর্মী-সমর্থকরা।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, সাধারণ মানুষ প্রথম থেকেই আমাদের পাশে ছিল। এই ফল তারই প্রতিফলন। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের সংগঠন যে এখনও অটুট, এই জয় তারই প্রমাণ। এবছর তিনি না থাকায় সমস্ত নেতা, বিধায়ক ও ব্লক নেতৃত্ব সহ প্রত্যেকে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতে কার্যত নিজেদের সেরাটা দিয়েছিলেন। তাতেই জয় সুনিশ্চিত হয়েছে।
দু’টি কেন্দ্রেই প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জিতবেন এনিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তাই বীরভূমে চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনের পরের দিন ১৪মে নানুর বিধানসভার পাপুড়ি গ্রামে বিশাল বিজয় মিছিল আয়োজন করেন। পাশাপাশি ওই দিনেই জয়ের খুশিতে গ্রামবাসীদের মিষ্টি বিতরণ করেন। এদিনও জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ময়দানে পুরুষ ও মহিলা ঢাকি, ডিজে সহ তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন। ব্যবধান ৩ লক্ষ ছাড়াতেই বোলপুরের চৌরাস্তা থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত রাস্তায় বিজয় মিছিল করেন তিনি। সেই মিছিলে পা মেলান নানুর ও কেতুগ্রামের বিধায়ক বিধান মাজি ও শেখ শাহনাওয়াজ। মিছিল শেষে কাজল শেখ বলেন, বিজেপির পয়সায় কিছু ভুয়ো সংস্থা ও সংবাদ মাধ্যম মিথ্যা এক্সিট পোল করে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেই তত্ত্বকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছে। এটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ম্যাজিক। জয়ের পর সার্টিফিকেট হাতে অসিত মাল।