অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
এবারের লড়াই কিছুটা স্নায়ুর চাপ নিয়ে শুরু করেন শতাব্দী। একদিকে দোর্দণ্ডপ্রতাপ জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবারের ভোটে অনুপস্থিত ছিলেন। জেলা সভাপতির অনুপস্থিতিতে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ফলে শুরু থেকে কিছুটা চিন্তায় ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু দলীয় সংগঠনে জোর দেওয়া, সরকারি প্রকল্পের লাগাতার প্রচার ও মাটি কামড়ে পড়ে থাকার সুফল পেলেন তৃণমূল প্রার্থী। সবকটি বিধানসভা থেকেই ব্যাপক লিড নিয়ে রেকর্ড মার্জিনে জিতলেন। শতাব্দীকে ২০০৯ সালে বীরভূম আসনে লড়তে পাঠান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বীরভূম থেকে দিল্লি যান। তারপর এনিয়ে টানা চারবার একই আসনে লড়াই করলেন। প্রতিবার তাঁর ভোটে জেতার মার্জিন বাড়ল। রুপোলি পর্দার নায়িকা থেকে একেবারে ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তা যে বাস্তবে কতটা সত্যি সেটা প্রতিবারের নির্বাচনেই প্রমাণ করছেন তিনি।
এদিন গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে হাসিমুখে শতাব্দী বলেন, দিদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়। তারপর দিদি আমায় বীরভূমে পাঠান। অনেকে নানা সময় নানা কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমি সকলকে সঙ্গে নিয়ে সংগঠনের কাজ করে গিয়েছি। শুধু ভোটের সময় নয়, সারাবছর এলাকায় থাকি। অনেকে বলত, সিনেমা জগতের মানুষ জিতে গেলেই পালিয়ে যাবে। কিন্তু সেইসব মানুষ এখন কথা বলার সুযোগ পান না। প্রতিবার জয়ের ব্যবধান বেড়ে গিয়েছে। আমি মানুষের সঙ্গে কথা বলে অভাব-অভিযোগ শুনলে কেউ কেউ প্রচার করে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন শতাব্দী। কিন্তু আমি সেইসব মানুষের সমস্যা মিটিয়েছি। তার ফল ভোটবাক্সে মিলবে। এদিন তিনি আবেগঘন হয়ে মায়ের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, মা এবার আমার সঙ্গে নেই। মনোনয়ন জমার দিন মায়ের ছবি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম। বাবা বলেছেন, তোমার মা সর্বদা সঙ্গে রয়েছেন। আজকের ফলাফল শুনলে মা যে কী খুশি হতেন!
তবে এবার রেকর্ড ভোটে জিতে শতাব্দী বুঝিয়ে দিলেন মানুষের সঙ্গে সংযোগ থাকলে সব কঠিন লড়াই জেতা সম্ভব। বিজেপির অপপ্রচারের জবাব দিয়েছেন লোকসভার ভোটাররা। সেই সঙ্গে রুপোলি জগত থেকে রাজনীতিতে আসা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন শতাব্দী। আগামী ৫ বছরের জন্য দিল্লির সংসদের একটি চেয়ার নিশ্চিত করে নিলেন।