অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা ৭ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৮১ ভোট পেয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী অসীমবাবু ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়েছেন। জয় শেষে নবনির্বাচিত সাংসদ শর্মিলা সরকার বলেন, এই জয় মানুষের। আমি আমার কেন্দ্রের প্রতিটি মানুষের কাছে ঋণী। তাঁরা আমার পাশে থেকেছেন। এবার প্রতিটি মানুষের হয়ে কাজ করব। আমি পালিয়ে যাব না। তাঁর বিপুল জয়ের অন্যতম কাণ্ডারী রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, এই জয় মানুষের জয়। মায়েদের জয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ জয়ী হয়েছে। বিজেপির কুৎসা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে মানুষ।
এদিন সকাল থেকেই বর্ধমানের সাধনপুর এমবিসি পলিটেকনিক কলেজে গণনা চলে। প্রথম থেকেই এগতে থাকেন তৃণমূল প্রার্থী। কয়েক রাউন্ড এগতেই ব্যবধান অনেক বাড়তে থাকে। কাটোয়া বিধানসভায়ও লিড পেয়েছে তৃণমূল। বিজেপির চেয়ে কাটোয়া বিধানসভা এলাকায় ১২হাজার ৩৭টি ভোটে লিড রয়েছে তৃণমূলের। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ৯৬১৫ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এবার সেই লিড ছাপিয়ে গেল। লিডের নিরিখে কাটোয়া বিধানসভার সিঙ্গি অঞ্চল প্রথম হয়েছে। সেখান থেকে ৩৯৫৮ ভোটের লিড পেয়েছে তৃণমূল। শর্মিলার বাড়ি অগ্রদ্বীপে। সেই অগ্রদ্বীপ অঞ্চলে ১২৫১টি ভোটে লিড পেয়েছে শাসকদল। গাজিপুর অঞ্চলে ২৩০৮ ভোটের লিড রয়েছে। কাটোয়া-১ ব্লকের চারটি অঞ্চল বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। প্রত্যেকটিতেই লিড দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ১৬টি রাউন্ডের প্রথম থেকেই শর্মিলা সরকার এগিয়েছিলেন।
দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে একাধিক সভা করেছেন। তিনি দলের জেলার প্রতিটি বিধানসভায় লিড বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। অভিষেকের কথাকে মান্যতা দিয়েই দলের সব বিধানসভা থেকেই লিড বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরের। রায়না বিধানসভা থেকে ৩২ হাজারের বেশি ভোটে লিড পেয়েছেন শর্মিলা। জামালপুর বিধানসভা ৩০ হাজার, মেমারি ৩২ হাজার ৮০০, পূর্বস্থলী উত্তরে ৩১৩১ ভোট ও পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রে ২০ হাজারের বেশি ভোটের লিড পেয়েছে তৃণমূল। তবে এবারও দাঁইহাট শহরে দু’হাজারের বেশি ভোটে ঘাসফুল শিবির পিছিয়ে রয়েছে। কালনা শহরেও পিছিয়ে রয়েছে ঘাসফুল শিবির।
এদিন ফল ঘোষণা হতেই কাটোয়া শহরজুড়ে তৃণমূল কর্মীদের উচ্ছ্বাস দেখা যায়। বাসস্ট্যান্ডে আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মীরা। পরাজিত হয়ে বিজেপি প্রার্থী কবিয়াল অসীম সরকার বলেন, মানুষের রায় আমি মাথা পেতে নিলাম। তবে আমি কর্মীদের কাছ থেকে পালিয়ে যাব না। পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি যেভাবে অত্যাচার করছিল তার জবাব মানুষ দিয়েছে।