অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
জয়ের পর কীর্তি আজাদ বলেন, জায়ান্ট কিলার এখানকার মায়েরা। মা-বোনেরা আশীর্বাদ করেছেন। এছাড়া দিদির আশীর্বাদ ছিল। আমি মনে করি স্বর্গে মা কালী রয়েছেন। আর এখানে মমতাদিদি রয়েছেন। তিনি সবার জন্য কাজ করেছেন। মায়েদের সম্মান দিয়েছেন। আর এখানকার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ মায়েদের অপমান করেছেন। দিদিকেও কুকথা বলতে তিনি ছাড়েননি। তার জবাব মায়েরা দিয়েছেন। তাঁরা ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
দুর্গাপুরের দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে তৃণমূলের সবচেয়ে বেশি চিন্তা ছিল। এই দুই কেন্দ্র থেকে ২০১৯সালের নির্বাচনে তৃণমূল পিছিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশলেই ইস্পাত নগরী থেকে তৃণমূল সাফল্য পেয়েছে। তিনি এখানে ভোটের সময় বেশ কয়েকদিন থেকেছিলেন। দলের নেতা-কর্মীদের প্রয়োজনীয় টিপস দিয়েছেন। সমস্তস্তরের নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নেত্রীর কাছে উৎসাহ পেয়ে এখানকার নেতারা কোমর বেঁধে ময়দানে নামেন। দুর্গাপুরের পাশের কেন্দ্র গলসিতেও শাসকদলের সংগঠন কিছুটা দুর্বল ছিল। এই বিধানসভা কেন্দ্র ভোটের আগে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিশেষভাবে অভিযান চালায়। গলসি-১ ব্লক থেকেও শাসকদল বাজিমাত করেছে। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদও ওই এলাকাগুলিতে প্রচারে জোর দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এই লোকসভা কেন্দ্রের নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করব না। তাঁরাও অনেক পরিশ্রম করেছেন। দুই জেলার সভাপতির ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য ছিল। সবাই ময়দানে নেমে কাজ করেছেন।
তৃণমূল এই কেন্দ্রে বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল। তিনি প্রার্থী হতে পারেন বলে অনেকেই অনুমান করতে পারেননি। প্রাক্তন ক্রিকেটার হলেও রাজনীতিতেও অত্যন্ত দক্ষ। তিনি এর আগেও সাংসদ হয়েছিলেন। তাই বিজেপিকে কোন ভাষায় জবাব দিতে হবে সেটা তাঁর জানা ছিল। গেরুয়া শিবির এখানে হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করে বাজিমাত করতে চেয়েছিল। তৃণমূল প্রার্থী তাঁকে হিন্দুত্বের পথেই জবাব দেন। এসব বিভিন্ন কারণেই বিজেপির কৌশল ব্যর্থ হয়ে যায় বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে। এদিন জয়ের সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন দলের নেতা আজিজুল হক মণ্ডল ও উজ্জ্বল প্রামাণিক। কীর্তি বলেন, কাজ করার জন্য এখানে এসেছি। যেসব কাজ বাকি রয়েছে সেগুলোই করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার টাকা অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে। সংসদে গিয়ে তার প্রতিবাদে সরব হব। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন যেসব কারখানা বন্ধ রয়েছে সেগুলি খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।