শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
গত ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়েছিল। তার আগেও একবার ব্রিজ মেরামতির ঠিকাদার সংস্থার জিনিসপত্র আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবারই প্রশাসনের আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। অবশেষে বাধ্য হয়ে পূর্ত দপ্তরের অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পূর্ত দপ্তরের এক কর্মী বাবু দাস বলেন, আন্দোলনকারীদের থেকে পাঁচজনের একটা প্রতিনিধিদল অফিসের ভিতরে এসে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারে আমরা জানিয়েছিলাম। কিন্তু ওনারা সেটা না শুনে সবাই মিলে ইঞ্জিনিয়ারের ঘরে ঢুকে পড়েন। এরপর অফিসে ঢুকে তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি এবং ভাঙচুর করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামনগর এলাকা থেকে রানাঘাট শহরে আসতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের চূর্ণী নদীর ওপরের ঝুলন্ত ফুট ব্রিজ পারাপার করতে হয়। কিন্তু সেই ফুট ব্রিজ দীর্ঘদিন ধরে বিপজ্জনক অবস্থায় থাকার পর প্রশাসন গতবছর সেটি সারাই করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমতো ব্রিজটি বন্ধ করে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পূর্ত দপ্তরের মাধ্যমে টেন্ডার করে গত বছর একটি বেসরকারি সংস্থাকে ব্রিজ তৈরির বরাত দেওয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ১০মাসের মধ্যে ব্রিজ মেরামতি করে দেওয়ার কথা ছিল। গত ৩১ জুলাই ১০ মাস হয়েছে। কিন্তু সেটি এখনও সম্পন্ন হয়নি। এরপরেই এদিন তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজ বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিত্যদিন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে অফিস যাত্রী সকলকে নৌকায় নদী পারাপার করতে হচ্ছে। এদিন ছোটবাজার এলাকায় চূর্ণী নদীর ওপর ফুটব্রিজ সংস্কার করে চালুর দাবিতে বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। এদিন তাঁরা রানাঘাট স্টেশন সংলগ্ন রানাঘাট হাইওয়ে সাব ডিভিশনের পূর্ত দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে যান। প্রথমে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। তারপর আসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে ঘিরে স্থানীয়দের বিক্ষোভ চলে। অভিযোগ বিক্ষোভ চলাকালীন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা অফিসের কম্পিউটার ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করেন।
রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামসুন্দর ঘোষ বলেন, এলাকার বাসিন্দাদের স্বার্থে ব্রিজ খোলার দাবিতে এদিন অবস্থান-বিক্ষোভ করা হয় পূর্ত দপ্তরের অফিসের সামনে। অফিসের ভিতর কেউ ভাঙচুর করেননি। তবে এলাকার বাসিন্দারা উত্তেজিত ছিল। পুজোর সময় ওখানে মেলা বসে। তখন প্রচুর বহু মানুষ এই ব্রিজ ব্যবহার করেন। তাই আমরা আগামী তিন দিন ওনাদেরকে সময় দিচ্ছি। তারমধ্যে ব্রিজ চালু করা না গেলে আমরা ফের অফিস ঘেরাও করব। এবিষয়ে ওই আসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অনুপকুমার দালাল বলেন, খুব তাড়াতাড়ি যাতে ব্রিজটি চালু করে স্থানীয়দের সমস্যার সমাধান করা যায়, তারজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ রাখব। তবে ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।