শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ জেলায় সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৪৭শতাংশ। বৃষ্টির ঘাটতির পাশাপাশি প্রখর রোদের তাপে শুকিয়েছে ছোট-বড় জলাশয়গুলি। এমনিতেই মাছ চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকে পদ্ম চাষ বন্ধ করে দিয়েছেন। জেলার নবগ্রাম,সাগরদিঘি, খড়গ্রাম, বড়ঞা সহ যে কয়েকটি ব্লকে পদ্ম চাষ হতো এখন তার এক চতুর্থাংশ পুকুরে পদ্ম চাষ হয় না। এবার বৃষ্টির ঘাটতি সেই চাষে আরও ধাক্কা দিয়েছে। জলাশয়গুলিতে পর্যাপ্ত জল না থাকায় বাজারে পদ্মপাতার আকাল পড়েছে। এখন পুকুর তন্নতন্ন করে খুঁজে দিনে চার থেকে পাঁচটির বেশি পদ্ম ওঠে না বলে দাবি চাষিদের।
খড়গ্রাম এলাকার পদ্ম চাষি সুব্রত নন্দী বলেন, আগে যে পুকুরে রোজ ৫০-৬০টির বেশি ফুল উঠত এখন সেই পুকুরে যত্ন নিয়েও দিনে সর্বোচ্চ দশটির বেশি কুঁড়ি ওঠে না। এখন হিমঘরে রাখায় কুঁড়ি অবস্থাতেই পদ্ম তুলতে হয়।
এদিকে পদ্ম ছাড়া অকাল বোধনও অসম্পূর্ণ। পুজোর উপাচারের তালিকায় ১০৮টি পদ্মের বিধান রয়েছে। বর্তমানে পুজোর সময় হিমঘরের ফুলই বাজারে আসে। এবার অনাবৃষ্টির জেরে হিমঘরও প্রায় খালি পড়ে রয়েছে। ৩৪নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া বহরমপুর জলট্যাঙ্ক মোড় এলাকার এক ফুল ব্যবসায়ী বলেন, পুজোর আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। অন্যান্য বছর আমি চার থেকে পাঁচ হাজার ফুল মজুত করে ফেলি। এবার চাষিদের কাছ থেকে অনেক দরদাম করে মাত্র দেড় হাজার কুঁড়ি মজুত করতে পেরেছি। তাতে আমার বাঁধা ক্রেতাদের চাহিদাই মেটানো যাবে না। গতবছর পুজোয় সাড়ে তিনশো থেকে চারশো টাকায় ১০৮টি পদ্ম মিলেছে। এবার দাম নিয়ে এখন থেকে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। বহরমপুরের ফুল বিক্রেতা শ্যামল হালদার বলেন, আগে যারা বায়না দিয়েছেন তাঁদের দাম আলাদা। তবে পুজোর এক দু’দিন আগে কী দাম হবে এখন থেকে বলা সম্ভব নয়। তবে ব্যবসায়ীদের কথা থেকেই স্পষ্ট, এবার পুজোয় পদ্ম প্রতি পিস অন্তত ১০-১২টাকা দরে বিক্রি হবে। বহরমপুরের এক পুজো উদ্যোক্তা বলেন, পুজোয় পদ্ম তো অবশ্যই দরকার। দাম যাই হোক কিনতে তো হবে।