শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এনআরসি আতঙ্কে আধার কার্ড তৈরি বা নাম সংশোধনের জন্য মহিলারা এক বছরের শিশুকে কোলে নিয়ে বহরমপুরে পোস্ট অফিসের সামনে রাত কাটাচ্ছেন। আগে লাইন দেওয়ার ভিত্তিতে কার্ড হবে। এই নিয়মে কার্ড তৈরি হচ্ছে। আগে কার্ড তৈরির জন্য বৃদ্ধ, বৃদ্ধা এবং মহিলারা চার-পাঁচ দিন ধরে পোস্ট অফিসের সামনে বসে থাকছেন। তাঁরা রাতেও সেখানে থেকে যাচ্ছেন। বাড়ি থেকে খাবার নিয়েই চলে আসছেন। ৭৫বছরের বৃদ্ধ গফফর শেখ বলেন, লাইন না দিলে আধার কার্ড হবে না। তিন-চারদিন ধরে লাইন দেওয়ার পর কার্ড তৈরি হচ্ছে। কার্ড না থাকলে এনআরসির তালিকায় নাম থাকবে না। আমার বউমার রেশন কার্ড নেই। ভগবানগোলা বিডিও অফিসে তিন-চার দিন ধরে যাচ্ছে। কাজ হচ্ছে না। দালালরা বলছে ২০০টাকা দিলে ওরা রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করে দেবে। ২০০টাকা আমাদের কাছে অনেক। তা দিতে পারছি না। হরিহরপাড়ার সামেদ শেখ বলেন, দালালরা গ্রামে গ্রামে চলে যাচ্ছে। অনলাইনে ভোটার কার্ড সংশোধনের জন্য ওরা বিভিন্নজনের কাছে থেকে টাকা নিচ্ছে। টাকার পরিমাণ নির্দিষ্ট নেই। মানুষ বিপদে পড়ে দিয়েও দিচ্ছে। এছাড়া তো কোনও উপায় নেই।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রতিটি বিডিও অফিসে ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য ভিড় উপচে পড়ছে। যে কোনও সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এক আধিকারিক বলেন, এনআরসির সঙ্গে এসবের কোনও সম্পর্ক নেই বলে ব্লকে ব্লকে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু জেলার বাসিন্দারা এতটাই আতঙ্কিত যে তারা কোনও কথায় বিশ্বাস করতে রাজি নয়। তাদের মধ্যে ধারণা হয়ে গিয়েছে রেশন কার্ড, আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড না থাকলে দেশ ছাড়া হতে হবে। দালাল চক্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য গ্রামে গ্রামে কৌশলে এসব প্রচার করে ফায়দা তুলছে। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলেই তারা অভিযানে নামবে। হরিহরপাড়া, ডোমকল, জলঙ্গি, ভগবানগোলা এবং কান্দি মহকুমার বিভিন্ন ব্লকগুলির দিকে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। ওইসমস্ত ব্লকগুলিতে দালালরা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জমির দলিল, পরচা ঠিক করার নামেও অনেকেই টাকা হাতাচ্ছে বলে অভিযোগ। অনেকেরই জমির দলিলে নামের ভুল রয়েছে। এনআরসির আতঙ্কে অনেকে তা ঠিক করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। জেলার অনেকেই বাইরে থাকেন। তাঁদের পরিবারের লোকজনদের দালালরা সবচেয়ে বেশি টার্গেট করছে। দলিল ঠিক করার নামে তারা কারও কারও কাছে থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিস সুপার বলেন, যারা সাধারণ লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তাদেরও চিহ্নিত করা হবে। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে।