শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
এদিকে, শিল্পকলা দিয়ে সাজানো নতুন আর এক দেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে খোসবাগান সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। ৫৯ তম বছরে এই পুজো কমিটির ভাবনা মধুবনী আর্ট। থিমের নাম ‘মধুবনীর বেশে, এলাম নতুন দেশে’। বিহারের বিখ্যাত মধুবনী শিল্পকলাকে মণ্ডপজুড়ে ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। ভিন রাজ্য ও জেলা থেকে এসে শিল্পীরা প্রায় তিনমাস ধরে হাতে এঁকে মণ্ডপ সাজিয়ে তুলছেন। পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, গ্রামীণ শিল্পকলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এবছর এখানকার থিম ভাবনায় মধুবনী আর্টকে তুলে ধরা হয়েছে।
অপরদিকে শিশুদের প্লাস্টিকের খেলনা বর্জনের বার্তা নিয়ে এবার পুজোর আয়োজন করছে বাহির সর্বমঙ্গলা পুজো কমিটি। এবার এখানকার পুজো ৫৭তম বছরে পদার্পণ করল। পুজোর অন্যতম কর্মকর্তা শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ বলেন, ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ও চায়না খেলনা বর্জন করে শিশুরা যাতে পুরনো দিনের খেলনা বেশি ব্যবহার করে সেব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। তারজন্য দু’টি পার্টে দু’ধরনের খেলনা দিয়ে মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে। পুরনো দিনের খেলনা হিসেবে গুলি-ডাণ্ডা, মার্বেল, লাটাই, ব্যাট, বল প্রভৃতি থাকবে।
রানিসায়ের উত্তর নেতাজি সঙ্ঘের পুজোয় এবার কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ হচ্ছে। মন্দিরে থাকবে সাবেকি মূর্তি। পুজোর এক উদ্যোক্তা চঞ্চল কুণ্ডু বলেন, এবার এখানকার পুজো ৬৩ তম বছরে পদার্পণ করল। পাড়াপুকুর সর্বজনীন কমিটির পুজো এবার ৭৮ তম বছর। পুজোর অন্যতম কর্মকর্তা দেবব্রত হাটি বলেন, এবার আমরা সাবেকি ভাবধারায় পুজোর আয়োজন করছি।
এদিকে, জোকারদের জীবনে সুখ-দুঃখ নিয়ে বোরহাট সর্বজনীনের মণ্ডপ সাজছে। এবার এখানকার পুজোর ৪১তম বছর। সার্কাসের জোকার আর তাঁদের বাস্তব জীবন কথা নিয়েই এখানকার থিম ‘অন্তরালে’। বিষয় ভাবনা-‘ডুকরে কাঁদে নিজের বুক, তবু দিতে চায় সে হাসির সুখ।’ পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা শেখর মাইতি বলেন, সার্কাসে একজন জোকার দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। অথচ বাস্তব জীবনে তাঁরা অবহেলিত। যেন হাসির খোরাক। অথচ আয়নার সামনে মানুষ সবাই এক। মণ্ডপকে কালারফুল করে গড়ে তোলা হচ্ছে। অনেক রকম রঙের ব্যবহার করা হচ্ছে এখানে। তাছাড়া, মণ্ডপে আর আকর্ষণ থাকছে সাত ফুটের একটি হাত। হাতের পাশে দাঁড়িয়ে একটি জোকার নিজের হাত দেখছে। দর্শকদের কাছে নতুন কিছু তুলে দিতেই এবারের আমাদের ভাবনায় জোকার। সবকটি পুজো মণ্ডপে থিমের সঙ্গে সমতা রেখে থাকছে আলো ও সাউন্ডের ব্যবহার। বাজেট তিন থেকে ১২ লক্ষ টাকা।