কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শুক্রবার বিকেলে কালিয়াগঞ্জ এলাকার নূর আলম ও লাগি খাতুন বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারাজপুর চান্দাহার এলাকায় তাঁদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় মেহের আলির বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাদের ঘরে বসতে দিয়েছিলেন মেহের। তাঁর দুপুরে খাওয়া হয়নি বলে অতিথিদেরও বলেছিলেন ভাত খেতে। কিন্তু খেতে না চাওয়ায় চা দেওয়া হয়েছিল দু’জনকে। ওই সময় কিছুক্ষণের জন্য মেহের ও স্ত্রী ঘরের বাইরে গিয়েছিলেন। মেহেরের কথায়, পরিবারের বাকি সদস্যদের অলক্ষ্যে রান্নাঘরে ঢুকে নূর ও লাগি খাবারে নেশার কিছু দ্রব্য মিশিয়ে দেয়। ওরা বাড়ি থেকে যাওয়ার পর ভাত খেতে বসি। কিছুক্ষণ পর আমি ঘুমে ঢুলে পড়ছিলাম। স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরাও খাওয়ার পর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আমার এক শ্যালিকার সম্প্রতি প্রসব হয়েছে। সে ওই খাবার খায়নি। তবে আমার বিশ্বাস ওর ঘরের আশপাশেও ঘুমের ওষুধ স্প্রে করা হয়েছিল বলে অচৈতন্য হয়ে পড়ে। শনিবার সকালে ঘুম ভাঙলে আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। দেখি ঘরের দু’টি লকার ভাঙা। খোয়া গিয়েছে নগদ সাড়ে ৯ লাখ টাকা এবং সোনা ও রুপোর গয়না।
এরপরই নূর ও তার স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ হয় মেহেরের। রায়গঞ্জ থানার পুলিসকে বিষয়টি জানানো হলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মেহেরের দাবি, কলমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি চাষাবাদ করি। সেই ফসল বিক্রির নগদ টাকা ছিল আমার কাছে। ব্যাঙ্কে জমা করার আগেই অঘটন। আক্ষেপের বিষয় হল, দুই আত্মীয় এত বড় চক্রান্ত করল।
পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি অভিযোগকারীর বাড়িতে এত নগদ কীভাবে এল দেখা হবে। এদিকে চুরি যাওয়া নগদ ও অন্যান্য সামগ্রী কার কাছে বা কোথায় গেল, তা নিয়েও অনুসন্ধান চলছে।