উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
কিছুদিন আগে গঙ্গারামপুর ব্লকে বিজয়া সম্মিলনিতে বিপ্লব বিরোধী তৃণমূল নেতৃত্বকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেজন্যই গত শুক্রবার বিকইর এলাকায় ফ্রেন্ডস ইউনিটি ক্লাবে পাল্টা ব্লক ও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়ার অনুষ্ঠান হয় বলে চর্চা শুরু হয়েছে। এই ক্লাবের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে কারণ সেটির সঙ্গে মৃণালের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বিকইরে সেই অনুষ্ঠানের পর অম্বরীশ নাম না করে বিপ্লবকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, কীভাবে একজোট থাকতে হয় সেটা আমরা দেখিয়ে দিচ্ছি। আমরা সবাই এখন একসঙ্গে রয়েছি। দলে এই বিভাজন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রকে ফোন করা হলে তাঁর মন্তব্য, চিকিত্সার জন্য বেঙ্গালুরুতে রয়েছি। এবিষয়ে যা বলার জেলা সভাপতি জানাবেন। বিপ্লব বিরোধী গোষ্ঠী যে শক্তি বাড়িয়ে নিজেদের পছন্দের কাউকে জেলা সভাপতি পদে বসাতে চাইছে, সেটা আন্দাজ করতে পারছেন বর্তমান সভাপতি সুভাষ ভাওয়ালও। তাঁর কথায়, কিছুদিন লক্ষ্য করছি যারা লোকসভায় দলের হয়ে ভোট করায়নি এখন একসঙ্গে বিভিন্ন মঞ্চে থাকছে। বিপ্লব মিত্রকে আটকাতে সাতজন জোট বেঁধেছে। বহিষ্কারের ভয়েও তারা এক জায়গায় আসতে পারে।
সুভাষের দাবি, একসময় যাঁরা দলের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন, এখন তৃণমূল নেতাদের তাঁদের অনুষ্ঠানেই বেশি দেখা যাচ্ছে। বিকইরে মৃণালের ক্লাবে পুজোর অনুষ্ঠানে তৃণমূলের যাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছিল, তাঁদের যাওয়া নিয়ে কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়। সেটি অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম। তবে এবিষয়ে তাঁকে মৃণাল কিছু জানাননি।
জেলা পরিষদের সদস্য মৃণাল সরকারের কথায়, আমাদের ক্লাব তৃণমূলের কর্মীদের নিয়েই তৈরি। কালীপুজো উপলক্ষ্যে সামাজিক অনুষ্ঠান মঞ্চে তৃণমূল নেতৃত্বকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। কারণ ব্লকের বিজয়া সম্মিলনিতে ব্লক ও জেলার নেতাদের ডাকেনি নেতৃত্ব। তাই দলকে সংগঠিত করতে আমাদের কর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।