উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
যদিও অটোচালকরা পাল্টা দাবি করেছেন, ই-রিকশা গ্রামীণ রুটগুলোতে চালালে তাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, তারা রাজ্যসড়কের একাধিক রুটে উঠে পড়ছে। কয়েকদিন আগে এক অটোচালককে ই-রিকশচালকরাই মারধর করেছে। ফলে অনৈতিক দাবি নিয়ে ই-রিকশাচালকরা অবস্থান করেছে।
ই-রিকশচালক রাহুল পাল বলেন, রোজগারের জন্য আমরা টোটো কিনেছি। কিন্তু যে রুটেই আমরা গাড়ি চালাতে যাই, সেখানেই অটোচালকরা বাধা দেয়। কখনও রাস্তায় গাড়ি আটকে দেয়, কখনও হেনস্তা করে। এদিন আমরা বাধ্য হয়ে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছি। সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
পাল্টা অভিযোগ তুলে অটোচালক ইউনিয়নের নেতৃত্ব ব্রজেন বর্মন বলেন, ই-রিকশা গ্রামীণ রুটগুলোতে চালানোর নিয়ম রয়েছে। ওরা রোডট্যাক্স সহ কোন ট্যাক্স দেয় না। আমরা সবকিছুই দেই। পারমিট নিয়ে রুটে গাড়ি চালাই। ই-রিকশাগুলো আমাদের ব্যবসায় ক্ষতি করছে। ই-রিকশাচালকদের এনিয়ে বলতে গেলেই ওরা আমাদের কয়েকজন চালককে মারধর করে। ওরা গ্রামীণ রুটে টোটো চালালে কোনও সমস্যা হবে না।
ই-রিকশ ও অটোচালক দু’টি ক্ষেত্রেই তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের শাখা কমিটি রয়েছে। এব্যাপারে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কোচবিহার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলিজার রহমান বলেন, দু’পক্ষকে নিয়ে আমরা এর আগেও আলোচনা করেছি। রবিবার শীতলকুচি ব্লকে এধরনের সমস্যার একটি সমাধান করা হয়েছে। মাথাভাঙা-১ ব্লকের হাজরাহাট রুটের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এদিন ই-রিকশ চালকদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল। ওরা কয়েকজন মিটিংয়ে না এসে মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থানে বসেছে। আলোচনা করে সমস্যা মেটানো হবে। নিজস্ব চিত্র