উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
ডিভিসির জলে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার জেরে সেখানে সব্জি চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। সেখানকার সব্জি এখনও উত্তরবঙ্গের বাজারে প্রবেশ করেনি। স্থানীয় সব্জিও বাজারে ওঠেনি। এখন বাজারে ছড়িয়ে রয়েছে ভিনরাজ্যের সব্জি। ফলে বাঁধাকপি, ফুলকপি, টম্যাটো, পটল, ঝিঙে, কাঁচালঙ্কা সবকিছুরই দাম ঊর্ধ্বমুখী। আলু ৩০-৩৫ টাকা কেজির আশপাশে থাকলেও পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সব্জি বিক্রেতারা বলেন, দক্ষিণবঙ্গে বন্যা হওয়ায় এখানে সব্জির আমদানি কমেছে। যারজন্যই দাম কিছুটা বেশি।
পুজোর মুখে এনিয়ে বেকায়দায় আমজনতা। তা হলেও প্রাচীন পুজো কমিটিগুলি ভোগ বৈচিত্র্য কাটছাঁট করতে নারাজ। শতবর্ষ প্রাচীন শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন দুর্গাপুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ চিন্ময় ঘোষ বলেন, এবার এই পুজোর ১০৮ বছর। বিগত বছরগুলির মতো এবারও সপ্তমীতে সাতরকম ভাজা, পরমান্ন, লুচি, সব্জি ও খিচুড়ি, অষ্টমীতে আট রকম ভাজা, খিচুরি ও সব্জি, সন্ধিপুজোয় পোলাও ও পনিরের রসা, নবমীতে ন’রকম ভাজা, পায়েস, লুচি, হালুয়া, সব্জি ও খিচুরি এবং দশমীতে দই, চিড়ে, খই ও পান্তাভাত নিবেদন করা হবে। সব্জি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া হলেও আমরা ভোগে কাটছাঁট করছি না। সকলের সহযোগিতায় তা করা হবে।
৯৩ বছরের পুরনো আনন্দময়ী কালীবাড়ির দুর্গাপুজোর ভোগ বৈচিত্র্যও অটুট। মন্দির সূত্রে জানিয়েছেন, সপ্তমীতে খিচুড়ি ও লাবরা, অষ্টমীতে পোলাও, ছোলার ডাল, দু’রকম সব্জি, সাতরকম ভাজা, চাটনি, পায়েস প্রভৃতি, নবমীতে খিচুড়ি, দু’রকম সব্জি, মুগডাল, চাটনি, পায়েস প্রভৃতি মায়ের কাছে নিবেদন করা হবে। আনন্দময়ী কালীবাড়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর বিশ্বাস বলেন, এবারও রীতি মেনে ভোগের আয়োজন করা হবে।
দুই পুজোর উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, দশভূজার কৃপা রয়েছে। তাই দশের সহায়তায় মায়ের পুজো সুষ্ঠুমতো হবে। বাজার অগ্নিমূল্য হলেও ভোগে সমস্যা হবে না।