উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
এই বছর কলকাতার মানিকতলা বিবেকানন্দ সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির থিম দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যকলা মুখাখেলা। যাকে গমিরাও বলা হয়। মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত সেই নৃত্য দেখানো কলকাতার পুজো প্রাঙ্গণে। মাঙ্গলিকা মুখা দলের ভোলানাথ সরকার, রীতম চৌধুরী, কৃষান দাস, শিবেশ সরকার সহ ১২ জন শিল্পী কাঠ ও শোলার মুখোশ পরে নৃত্যের মাধ্যমে তুলে ধরবেন দিনাজপুরের কৃষ্টিকে। এই বিষয়ে দলের কর্ণধার তথা লোকসংস্কৃতি গবেষক শিক্ষক ড. অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, কলকাতার মতো জায়গায় বিগ বাজেটের পুজো উদ্যোক্তাদের দিনাজপুরের ঐতিহ্য মুখা শিল্পকে তুলে ধরার ভাবনাকে সাধুবাদ। আমি চাই মুখা শিল্প বিশ্বের দরবারে পৌঁছে যাক।
দিনাজপুরের এই ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে। পুজো উদ্যোক্তাদের এই অভিনব ভাবনার ফলে গমিরা নৃত্যকলা এবার কলকাতার পুজো মণ্ডপ মাতাবে। পাশাপাশি মণ্ডপ সেজে উঠবে কাঠের তৈরি দুর্গা প্রতিমা সহ মুখোশে। এই প্রতিমাটি মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মুখোশের ধাঁচে তৈরি। এছাড়াও ডাকিনি, কালী, সিকনি বিশাল, বুড়া-বুড়ি, নরসিংহ, নর রাক্ষস, মৎস্য কন্যা সহ একাধিক কাঠের মুখোশ ও বাঁশের কারুকার্যে সজ্জিত হবে মণ্ডপ। দু’মাস ধরে সেই কাঠের প্রতিমা সহ নানান মুখোশ তৈরি করছেন উত্তর দিনাজপুরের মুখা শিল্পী দুলাল দেবশর্মা। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন দুই ছেলে বিপুল ও মানব দেবশর্মা সহ মুখা শিল্পী দীনু রায়। অভিজিৎ এই কাজে সাহস জুগিয়েছিলেন বলে দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছিলেন, দাবি করেছেন দুলাল। ২৮ সেপ্টেম্বর সমস্ত মুখা শিল্পকার্য নিয়ে কলকাতা রওনা দেবেন দুলাল। তিনি বলেন, এতদিন আমাদের হাতে তৈরি মুখোশ মেলায় বিক্রি করতাম। এবার কলকাতার মতো বড় জায়গার দুর্গা প্রতিমা সহ মুখোশ তৈরির বরাত পেয়ে ভালো লাগছে। হারিয়ে যেতে বসা বাংলার বিলুপ্ত প্রায় শিল্পকে বাঁচাতে উদ্যোক্তাদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ। কাঠের দুর্গা তৈরি করছেন শিল্পী। - নিজস্ব চিত্র।