উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
শিক্ষকদের বক্তব্য, দুর্গন্ধে ক্লাস করতে পারছে না পড়ুয়ারা। শিক্ষকরাও ঠিক করে ক্লাস নিতে পারছেন না। মিড ডে মিল খেতেও সমস্যা হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের।
ইতিমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ মাটিগাড়া ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। স্কুলের তরফে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। যদিও ব্লক প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলেন্দু আচার্য বলেন, মাটিগাড়া হাটের মাছ, মাংস, পচা সব্জি, মুরগির পালক- সমস্ত কিছু স্কুলের সীমানা প্রাচীরের ধারে ফেলা হচ্ছে। শুধু হাটের সামগ্রী নয়, এলাকার হোটেল, রেস্তরাঁ, বাড়ির সামাজিক অনুষ্ঠানের বর্জ্য, এমনকী কুকুর, বেড়াল, গোরুর মৃতদেহ এনে এখানে ফেলা হচ্ছে। দুর্গন্ধে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসতে চাইছে না। হাটের আর্বজনা কেন ফেলা হচ্ছে স্কুলের পাশে? মাটিগাড়া হাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস বলেন, সমস্যাটি অনেকদিনের। ওখানে ময়লা ফেলতে হাটের ব্যবসায়ীদের বারণ করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত সহ প্রশাসনের সর্বস্তরে জানানো হয়েছে।
প্রধান শিক্ষকের সংযোজন, স্কুলের পাশে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে আমরা বিডিও’র দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। দুর্গন্ধে ক্লাসরুমে থাকা যায় না। এভাবে চলতে থাকলে স্কুল বন্ধ করে দিতে আমরা বাধ্য হব।
মাটিগাড়ার বিডিও বিশ্বজিৎ দাস বলেন, আমাদের প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শন করেছে। দ্রুত আবর্জনা সরিয়ে নেওয়া হবে। এবিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গেও কথা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।