উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
এক সময় দক্ষিণ মাধবডাঙা এলাকায় দুর্গাপুজো ছিল না। এলাকার বাসিন্দারা যেন পুজোর আনন্দে মেতে উঠতে পারে সে কারণে ১৪ বছর আগে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা একত্রিত হয়ে পুজো শুরু করেন। বর্তমানে এই সদস্য সংখ্যা ৯০ জন। ফালতুর মোড় এলাকায় স্থায়ী মণ্ডপে পুজো হয়। সামনে মণ্ডপসজ্জা করা হয়। মণ্ডপ তৈরি করছেন স্থানীয় শিল্পী মানিক শর্মা। মূর্তি তৈরি করছেন ময়নাগুড়ির শিল্পী সুধীর পাল। আলোকসজ্জা তুষার কান্তি শর্মা ও মৃদুল সরকার।
প্রতি বছর এই পুজোয় এলাকাবাসীদের নিয়ে নানা প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পুজো মণ্ডপজুড়ে থাকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারের ফ্লেক্স। বর্তমানে এই পুজো কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বিহারীলাল শর্মা। সহ-সভাপতি শচীন বসুনিয়া ও প্রহ্লাদ দাস, সম্পাদক গৌরাঙ্গ শর্মা, সহ-সম্পাদক দীনেশ রায় ও চন্দন শর্মা। কোষাধ্যক্ষ বনমালী রায়, নীরেন রায় ও রমেশ রায়।
গৌরাঙ্গ শর্মা বলেন, পঞ্চমীতে এলাকার মানুষজন শোভাযাত্রা করে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, ঢাক ও কাসর বাজিয়ে মাকে মণ্ডপে নিয়ে আসবে। ষষ্ঠীর দিন পুজোর উদ্বোধন হবে। উপস্থিত থাকবেন সরকারি প্রতিনিধিরা। প্রতিদিন আমাদের মণ্ডপের সামনে নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হবে। মহালয়ায় ক্লাবের পক্ষ থেকে পিতৃতর্পণের আয়োজন করা হয়। নবমীতে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে নরনারায়ণ সেবা করা হবে। যেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষজনকে বসে খাওয়ানো হবে।
রামমোহন রায় বলেন, রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকার অনুদান দেওয়ার জন্য। নিজস্ব চিত্র।