উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
অভিযোগ, দিনবাজারে পাইকারি মাছ বাজার রয়েছে। প্রতিদিন শ’য়ে শ’য়ে থার্মোকলের বাক্সে বরফ দেওয়া অবস্থায় মাছ আসে। তারপর সেই মাছ বিক্রি হয়ে গেলে নদীর পাড়ে ফেলে দেওয়া হয় থার্মোকলের বাক্স। কখনও সেই বাক্স নদীতে ভাসতে থাকে। কখনও আবার গভীর রাতে কিংবা ভোরে একসঙ্গে জড়ো করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রচুর থার্মোকলের বাক্স পুড়তে থাকায় আগুনের লেলিহান শিখা ও আকাশ ছোঁয়া ধোঁয়া দেখে ভয় পেয়ে যান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, থার্মোকলের আগুন নিভে যাওয়ার পরও কয়েক ঘণ্টা ধরে চোখজ্বালা করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে বহুবার পুরসভা ও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু, সুরাহা হয়নি।
২০১৫ সালের ৭ মে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল দিনবাজার। সেই ক্ষত এখনও রয়ে গিয়েছে ব্যবসায়ীদের অনেকের মনে। তাঁদের বক্তব্য, থার্মোকলের আগুন থেকে যেকোনও বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এনিয়ে জলপাইগুড়ি হোলসেল ফিশ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্রের বক্তব্য, আমাদের স্পষ্ট নির্দেশ আছে, নদীতে থার্মোকলের বাক্স ফেলা যাবে না। পোড়ানোর তো কোনও প্রশ্নই আসে না। কিন্তু কে বা কারা থার্মোকলের বাক্স পোড়াচ্ছেন, তা প্রশাসনকেই দেখতে হবে। আমরা নিজেদের গাঁটের টাকায় মাছ বাজারের বর্জ্য সাফাই করি। পুরসভা কিছুই করে না। তাছাড়া আমরা দিনবাজারের পাইকারি মাছবাজার বাইপাসে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরসভাকে অনেক আগেই বলেছিলাম। সেব্যাপারেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, দিনবাজারের মাছ ব্যবসায়ীদের এর আগে একাধিকবার বলা হয়েছে, কেউ যেন থার্মোকলের বাক্স না পোড়ান। এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু তারপরও যদি তা না মানা হয়, এবার পুরসভার তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জলপাইগুড়ি সদরের এসডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, দিনবাজার এলাকায় করলা নদীর পাড়ে থার্মোকলের বাক্স পোড়ানো হচ্ছে বলে আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। এটা খুবই বিপজ্জনক। বড় দুর্ঘটনা ঘটতেও পারে। তাছাড়া এভাবে থার্মোকল পোড়ানোয় পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কে বা কারা এটা করছে, তা দেখা হচ্ছে। বিষয়টি দমকলকেও জানানো হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।