কর্মে সংস্থাগত পরিবর্তন বা কর্মসূত্রে বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। কলাশাস্ত্রের চর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে খাগড়াবাড়ি-১ এবং ২ পঞ্চায়েত এলাকা বেছে নেওয়া হয়েছে। দপ্তরের আতমা প্রকল্পের পক্ষ থেকে কৃষকদের ধানের চারা দেওয়া হচ্ছে। দু’টি পঞ্চায়েত এলাকার মোট ৫০ বিঘা জমিতে প্রাথমিকভাবে এই চাষ বুধবার থেকে শুরু করা হল। প্রথম দিনের এই বিশেষ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ব্লকের আতমা প্রকল্পের চেয়ারম্যান বিমলেন্দু চৌধুরী, ময়নাগুড়ির কৃষি আধিকারিক মানসী বর্মন, ময়নাগুড়ি ব্লক টেকনোলজি ম্যানেজার সৌম্যজিৎ রায় এবং কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক মৌমিতা দাস।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব কম সময়ের মধ্যে প্রচুর জমি এই মেশিনের সাহায্যে চাষ করা সম্ভব। মাত্র ৪০ মিনিটে এক বিঘা জমিতে চাষ করা সম্ভব। যেখানে চারজন শ্রমিককে দিয়ে এক বিঘা জমি চাষ করতে একদিন লেগে যায়। পাশাপাশি কৃষকদের অতিরিক্ত পরিমাণ শ্রমিক নিয়োগেরও প্রয়োজন নেই। যিনি মেশিন চালাবেন, তিনি একাই কয়েক বিঘা জমি চাষ করতে পারবেন। এই মেশিনের সাহায্যে ধান রোপণ করলে ধানের চারার সারি সঠিক হবে। ধানের পাশকাটির সংখ্যা বৃদ্ধি হবে। সব থেকে বড় কথা, এই পদ্ধতিতে ধানের ফলন বাড়বে।
আতমা প্রকল্পের চেয়ারম্যান বলেন, একজন মেশিন চালক অনায়াসে এক একর জমি চাষ করতে পারবেন। এই মেশিন ডিজেলের সাহায্যে চলে। খুব কম পরিমাণ ডিজেল খরচ হয়। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে। ধানের বীজ সহ প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় দু’হাজার টাকা করে খরচ হবে। ১০০০ টাকা আতমা প্রকল্পের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে। বাকি টাকা কৃষককে দিতে হবে। আগামী দিনে গোটা ব্লকে এই ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে চাষ হবে। এই মেশিন কিনতে চাষিরা ভর্তুকিও পাবেন।
অত্যাধুনিক এই মেশিনের সামনের অংশে প্লেট রয়েছে। সেখানে ধানের চারা সমানভাবে বসিয়ে দিতে হয়। এরপর মেশিন চলতে শুরু করে। লাঙল দেওয়া জমিতে সারিবদ্ধভাবে ধানের চারা রোপণ হতে থাকে।
নিজস্ব চিত্র।