কর্মে সংস্থাগত পরিবর্তন বা কর্মসূত্রে বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। কলাশাস্ত্রের চর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
অধ্যাপকদের অভিযোগের তির নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে নতুন রেজিস্ট্রার অধ্যাপকদের বেতনের বিলে সই করছেন না। এনিয়ে বুধবার ব্যাপক ক্ষোভ দেখান তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ রেজিস্ট্রার এবং উপাচার্যকে ঘেরাও করে অধ্যাপকরা বিক্ষোভ দেখান। তাতে সমস্যা না মেটায় বিকেল থেকে দু’জনকে তালাবন্দি করে আটকে রাখেন অধ্যাপকরা। পরে তালা খুলে দু’জনকে মুক্ত করা হলেও বেতন না পেলে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অধ্যাপকরা।
মন্মথ কর, রাজু পাল, রিচা রাজ ঝা বলেন, ইউজিসির নিয়ম মেনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছি। এতদিন ঠিকমতো বেতন পাচ্ছিলাম। কিন্তু নতুন রেজিস্ট্রার কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকে আমাদের বেতন আটকে দেওয়া হয়েছে। কয়েকবার জানানো সত্ত্বেও বেতন দেওয়া হচ্ছে না। রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন না। আজ রেজিস্ট্রার ও উপাচার্যের কাছে জানতে চেয়েছি কেন বেতন দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু তাঁরা সদুত্তর দিতে পারছেন না। তাই তালা ঝুলিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করেছি। অন্যদিকে, নতুন রেজিস্ট্রার তথা হিলি গভর্নমেন্ট কলেজের অধ্যাপক কৌশিক মাঝি বলেন, এই অতিথি অধ্যাপকদের নিয়োগ কীভাবে হয়েছে, তা জানতে উচ্চশিক্ষা দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। উত্তর এলেই অধ্যাপকদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, বিক্ষোভ প্রসঙ্গে উপাচার্য দেবব্রত মিত্রের মন্তব্য, এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। যে পদ্ধতিতে এতদিন বেতন দেওয়া হচ্ছিল, সেভাবে হলেই ভালো হয়। বেতন সংক্রান্ত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ জন অতিথি অধ্যাপক রয়েছেন। সকলেই ইউজিসির গাইডলাইন মেনে কাজ করছেন বলে দাবি। দীর্ঘদিন ক্লাস করালেও বেতন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমস্যা হয়নি। গত জুন মাসের প্রথমেই নতুন রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন। তখন থেকেই শুরু হয়েছে সমস্যা। রেজিস্ট্রার ওই অধ্যাপকদের বেতন আটকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
২০২১ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হয়। অথচ এখনও নির্দিষ্ট জায়গা হয়নি। মাত্র তিনটি বিষয়ে পঠনপাঠন হচ্ছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল এবং স্ট্যাটিউট তৈরি হয়নি বলে স্থায়ী অধ্যাপকও মেলেনি। বর্তমান উপাচার্য একাধিকবার রাজ্যকে চিঠি দিলেও কাজ হয়নি। বরং রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের বিষয়টি সামনে এসেছে। পরিকাঠামো নিয়েও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। নিজস্ব চিত্র