কর্মে সংস্থাগত পরিবর্তন বা কর্মসূত্রে বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। কলাশাস্ত্রের চর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
দিনবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মলয় সাহা বলেন, ২০১৫ সালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়েছিল দিনবাজার। এরপর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ২০২০ সালে মার্কেট কমপ্লেক্সটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১ টাকার বিনিময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দোকানঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তারপরও তিন বছর কেটে গিয়েছে পুরসভার উদাসীনতার জন্য সেখানে ব্যবসা চালু করা যাচ্ছে না। লিফ্ট চালু হয়নি। অপরিচ্ছন্ন গোটা কমপ্লেক্সটি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে ছাদে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বসানো সোলার প্যানেল। পুরসভার উচিত ছিল, মার্কেট কমপ্লেক্সের জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করে ব্যবসায়ীদের সমস্যা দ্রুত মেটানো। রক্ষণাবেক্ষণ করা। যার কোনওটাই আজ পর্যন্ত হয়নি।
বাজারের ব্যবসায়ী জ্যোতি আগরওয়াল বলেন, গোরু, ছাগল মার্কেট কমপ্লেক্সের ভিতরে ঢুকে থাকে। দুর্গন্ধে এখন কমপ্লেক্সের ভিতরে টেকা দায়। এতবড় মার্কেটে নেই কোনও জলের ব্যবস্থা। দিনবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক শরৎ মণ্ডল বলেন, পুরসভাকে আমাদের সমস্যা প্রসঙ্গে বহুবার বলেও বলে কোনও কাজ হচ্ছে না। তাই আমরা ভাবছি, এবার জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।
এদিকে মার্কেট কমপ্লেক্স নিয়ে সরব পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার অম্লান মুন্সিও। তাঁর দাবি, অপরিকল্পিতভাবে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছিল। অনেকটা আলু রাখার হিমঘরের মতো। ওই কমপ্লেক্স তৈরি করতে যতটুকু যা মুনাফা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। মার্কেট কমপ্লেক্স চালু করতে গেলে নতুন করে আর কোনও মুনাফা হবে না বলেই এটি চালুর ব্যাপারে পুরসভার উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
তবে ভিন্নমত জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পালের। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে কোথাও কোনও সমন্বয়ের অভাব রয়ে গিয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখব। ছ’টি দোকান বাদে কমপ্লেক্সের বাকি সব দোকানঘর বিলি করার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বিদ্যুৎ, জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। বিল্ডিং পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। দোকানঘরে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য নো-অবজেকশনও দেওয়া হচ্ছে। এবার ব্যবসায়ীরা দোকান সাজিয়ে ব্যবসা চালু করলে, তারপর আমাদের তরফে যা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন আমরা করব। নিজস্ব চিত্র