কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার জেলায় ৮৪০টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। শিক্ষকের সংখ্যা ২৯০০। এর মধ্যে ছ’শোর বেশি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ ফাঁকা। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক না থাকায় পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে। তবে লোকসভা ভোটের আগে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তর। কিন্তু ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া থেমে যায়। ভোটের আচরণবিধি উঠে যাওয়ায় এবার সামনের সপ্তাহ থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ শুরু হচ্ছে। কিন্তু এই নিয়োগ নিয়ে বিরোধীরা সহ অনেকেই নানা প্রশ্ন তুলেছে।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মন বলেন, সরকারী গাইড লাইন মেনে জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হবে। কিন্তু ওই নিয়োগ নিয়ে বেশকিছু প্রশ্ন সামনে এসেছে। শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিক পর্যায়ে এখন সেই প্রশ্নগুলির স্ক্রুটিনি চলছে। এই স্ক্রুটিনি শেষ হলেই সামনের সপ্তাহ থেকে স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ শুরু হবে।
বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলি এই নিয়োগ নিয়ে বেশকিছু দাবি তুলেছে। সিপিএমের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ’র দাবি, শূন্যপদের তালিকা তৈরি করে শিক্ষকতার চাকরির সিনিয়রিটির ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। সেইসঙ্গে ওপেন কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। এই নিয়োগের কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে গোটা কাউন্সেলিং ব্যবস্থা ভিডিগ্রাফি করে রাখতে হবে। এবিপিটিএ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রসেনজিৎ রায় বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই সংগঠনের তরফ থেকে এই দাবিতে শিক্ষাদপ্তরে ডেপুটেশন দিয়েছি। আশা করছি, আমাদের দাবিমতো এই নিয়োগ হবে।
যদিও শাসকদল তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের কথায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ হবে। সেখানে বিরোধীদের কথায় কখনও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সেলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি কৌশিক সরকার বলেন, বামপন্থীরা লোকসভা ভোটে একটি আসনেও জিততে পারেনি। স্বাভাবিকভাবে বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনগুলিও বর্তমানে তাদের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে।