কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
জনস্বাস্থ্য বিভাগের রিপোর্ট অনুসারে, চলতি বছর মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভের কাজ করা হচ্ছে। জেলার সমস্ত ব্লকের পঞ্চায়েতে সার্ভে এবং ডেঙ্গু কন্ট্রোল টিম কাজ করছে। ১১৭২ জন কর্মী বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। জমা জলে মশার লার্ভা আছে কি না, থাকলে সেগুলি নষ্টও করছেন। এদিকে এবার গাপ্পি মাছ ছাড়া হলে মশাবাহিত রোগ আরও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করছেন দপ্তরের আধিকারিকরা। তাঁদের বক্তব্য, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ জন। গত পাঁচ দিন ধরে এই সংখ্যাই রয়েছে।
চলতি বছর জেলার জলপাইগুড়ি সদর ব্লককে ৭৬ হাজার গাপ্পি মাছ দেওয়া হবে। রাজগঞ্জ ব্লকে ১ লক্ষ ২৩ হাজার, ময়নাগুড়িতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার, ধূপগুড়িতে ৭ লক্ষ এবং বানারহাটে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার গাপ্পি মাছ দেওয়া হবে। এছাড়াও মালবাজার, ক্রান্তিতে ১ লক্ষ ২০ হাজার, মেটেলি এবং নাগরাকাটা ব্লকে যথাক্রমে ৩৩ হাজার ৫০০ এবং ৯০ হাজার ৮০০ গাপ্পি মাছ দেওয়া হবে। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায়বর্মন বলেন, কোথায় গাপ্পি মাছ ছাড়া যেতে পারে, সেটা দেখার পরই গত ডিসেম্বরে ব্লক থেকে তাদের কাছে রিক্যুইজিশন দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত দপ্তরের কাছে মাছ চাওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত দপ্তর এবার মৎস্যদপ্তরের মাধ্যমে সেই মাছ পাঠাবে। গত বছর ১৮ লক্ষ ২৮ হাজারের মতো গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছিল।