কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে যে কোনও মূল্যে জমি-হাঙরদের দাপাদাপি বন্ধ করতে হবে। বেআইনি ভাবে জলাভূমি ভরাটের বিষয়ে অভিযোগ এলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। জলাভূমি ভরাটের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি যেসব ট্র্যাক্টর বা লরি ওই কাজে ব্যবহৃত হবে সেগুলিকেও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
শনিবার সকালে মালদহ জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পুরাতন মালদহের নালাগোলা রাজ্য সড়কের পাশে মুচিয়াতে ভরাট হয়ে যাওয়া পুকুর পুনরুদ্ধারের কাজ আবারও শুরু হয়। এদিন আর্থমুভার দিয়ে মাটি খুঁড়ে গর্ত করার কাজ চলে। পুরাতন মালদহ ব্লক ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং মালদহ থানার আধিকারিকরা সেখানে দীর্ঘক্ষণ কাজের তদারকি করেন। প্রশাসনের পদক্ষেপে খুশি এলাকার মানুষ।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আচমকা পুকুর ভরাট করা হচ্ছিল। জমি মাফিয়াদের ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারছিল না। তবে গোপনে অভিযোগ করা হয়েছিল। এদিন দেখি ভরাট পুকুর থেকে মাটি তোলা হচ্ছে। এভাবে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করলে পরিবেশকে রক্ষা করা যাবে।
পুরাতন মালদহের বিএলএলআরও বলেন, মুচিয়ার পুকুরটি জানুয়ারিতে ভরাট হয়েছিল। ভোটের আগে আমরা পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেছিলাম। ভোট মিটতেই জেলাশাসকের নির্দেশে এবং স্থানীয় বিডিও’র সহযোগিতা পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হল।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি রাজস্ব) দেবাহুতি ইন্দ্র বলেন, জলাভূমি ভরাটের আইনি শাস্তি কী হতে পারে তা জানিয়ে ইতিমধ্যেই ফ্লেক্সের মাধ্যমে প্রচার শুরু হয়েছে। বুঝে অথবা না বুঝে করলে একই পরিণাম হবে। পাশাপাশি জলাভূমিগুলির ওপর নজরদারিও চালানো হবে। ল্যান্ডব্যাঙ্ক তৈরির মাধ্যমে কোথায় কোথায় জলাভূমি রয়েছে তা চিহ্নিতও করা হচ্ছে। জলাজমি ভরাটের বেশ কিছু অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পদক্ষেপ করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, জমি-হাঙরদের অনেকেই বেআইনি কাজ চালিয়ে যেতে রাজনৈতিক জার্সি গায়ে চাপাতেন। কিন্তু এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের জনবিরোধী ও পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে ঢালাও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং কাউকেই রেয়াত করা হবে না।