অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, নিশীথ প্রামাণিকের নেতৃত্বে কোচবিহারে শুধু সন্ত্রাস হয়েছে। মানুষকে বারবার বোকা বানিয়েছেন তিনি। এবার তাঁর অহঙ্কারের পতন হয়েছে। এতে কোচবিহারের মানুষ খুশি। একদা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। বহিষ্কৃত হয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়ে জয়ী হন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটা আসনে সামান্য ব্যবধানে জয়ী হন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হন। একদা দলের সৈনিকের কাছে বারবার পরাজিত হওয়া দলের কাছে সম্মানের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। একাধিকবার দলের জেলা সভাপতি পদে বদল করা হয়। যুবনেতা অভিজিৎ দে ভৌমিককে জেলা সভাপতি করে প্রবীণ নেতা গিরীন বর্মনকে চেয়ারম্যান করে রাজ্যের শাসকদল। উপনির্বাচনে জেতার পর দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহকে মন্ত্রিসভার সদস্য করা হয়।
এদিকে, পুরসভা নির্বাচনের পর কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডেপুটিকে হারানোর জন্য দিনহাটা থেকেই জনজোয়ার যাত্রা শুরু করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত সেখান থেকেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়। পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল সাফল্য আসে কোচবিহারে। সেই সাফল্যে গা না ভাসিয়ে সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা হয়। গোষ্ঠীকোন্দল ভুলে সকলকে নিয়ে চলার বার্তা দেওয়া হয়। সবপক্ষকে নিয়ে বারবার ভার্চুয়ালি বা কোচবিহারে এসে বৈঠক করে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাদের এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করল তৃণমূল।