অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
মাথাভাঙা বিধানসভা ও শীতলকুচি বিধানসভা এলাকার যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির বোর্ড রয়েছে সেসব জায়গায় জোড়াফুলের কর্মীরা বেশি উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। বাজি ফাটিয়ে, দলীয় কর্মীদের সবুজ আবির মাখিয়ে, ব্যান্ডপার্টি নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে তৃণমূল। শীতলকুচি বিধানসভার নয়ারহাট, মাথাভাঙা-২ ব্লকের লতাপোঁতা, রুইডাঙা সহ বিজেপির দখলে থাকা ছ’টি পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বাস ধরা পড়ে।
তৃণমূলের দাবি, লোকসভা ভোটের শুরু থেকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের দলের নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। বেশ কয়েকটি বুথে তৃণমূল কর্মীদের ভোট দিতে নিষেধও করা হয়েছিল। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের পর দলীয় কর্মীরা ব্যান্ডপার্টি নিয়ে সবুজ আবিরে খেলে রাস্তায় নেমে পড়েন। মাথাভাঙা শহর পরিক্রমাও করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মিছিলে ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক, মাথাভাঙা শহর তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় প্রমুখ।
এব্যাপারে তৃণমূলের মাথাভাঙা শহর সভাপতি বলেন, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র আমরা পুনরুদ্ধার করেছি। আমাদের প্রার্থী জয়লাভ করায় আনন্দে মিছিল করলাম। শহরে ভোট কী হয়েছে তা এখনও হিসেব করে দেখা হয়নি। পরবর্তীতে তা দেখা হবে। মাথাভাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন বলেন, বিজেপির যে ক’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বোর্ড রয়েছে সেখানে আমাদের কর্মীদের ওরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিল। আমাদের প্রার্থীর জয়ের পর সেইসব এলাকায় নেতা-কর্মীরা একটু বেশি উচ্ছ্বসিত। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না তৈরি হয় সেদিকে খেয়াল রাখছি।
বিজেপির মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মন বলেন, আমরা কোথাও কাউকে হুমকি দিইনি। তৃণমূলই হুমকি, ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করেছে। আমরা কর্মীদের বলেছি সংযত থাকতে। তৃণমূলের প্ররোচনায় আমাদের কোনও কর্মী যাতে পা না দেন সেদিকে খেয়াল রাখছি। নিজস্ব চিত্র