অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
সাংগঠনিক দুর্বলতাই রায়গঞ্জ শহরে তৃণমূলের হারের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মঙ্গলবার গণনা শেষে সেকথা সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। কৃষ্ণের প্রচারে সবাই একসঙ্গে লড়াই করেননি বলেও জানালেন তিনি। একইসঙ্গে এই হারের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন জেলা সভাপতি।
উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর শহর রায়গঞ্জ। এখানে ২৭ টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল ক্ষমতায়। পুর নির্বাচন না হওয়ায় গত দু’বছর শহরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলাররা। অথচ এই রায়গঞ্জ শহরের সবকটি ওয়ার্ডেই পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, কৃষ্ণ কল্যাণী বনাম শহরের নেতাদের একাংশের কোন্দলের কারণেই এই হাল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, রায়গঞ্জে গোষ্ঠী কোন্দল সেই অর্থে কিছু নেই। তবে সবাই মিলে মিলেমিশে প্রচারে নামেননি। এটা পরাজয়ের একটা কারণ হলেও হতে পারে।
তবে রায়গঞ্জ শহরে হারের নেপথ্যে গোষ্ঠী কোন্দল থাক বা না থাক, তৃণমূলে যে সাংগঠনিক ব্যর্থতা আছে তা এদিন মেনেছেন জেলা সভাপতি। তাঁর কথায়, সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে বলেই এত ভোটে আমরা পিছিয়ে গিয়েছি। তাছাড়া রায়গঞ্জের মানুষ প্রার্থীকে কতটা মেনে নিয়েছিলেন, সেটা আমরা বিশ্লেষণ করলে বুঝতে পারব।
রায়গঞ্জের পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসের ওয়ার্ড ২৩ নম্বরেও বিজেপি প্রার্থী প্রায় তিনশো ভোটে এগিয়ে। তাঁর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল পেয়েছে ৯৩৫ ভোট এবং বিজেপি ১ হাজার ২২১ ভোট। তৃণমূল এই ওয়ার্ডেও ২৮৬ ভোটে পিছিয়ে।
রায়গঞ্জ শহরে হারের কারণ প্রসঙ্গে সন্দীপ বলেন, আমরা সবাই মিলে বৈঠক করে পর্যালোচনা করে দেখব রায়গঞ্জ শহরে কেন এই পরিস্থিতি হল। মানুষের রায় আমরা মাথা নত করে মেনে নেব।