অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
চব্বিশের লোকসভায় কোচবিহার আসনের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, এই আসন পুনরায় দখল করতে আমার প্রতি ভরসা রাখার জন্য দলনেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। জনগণ বারবার আমাকে আশীর্বাদ করেছে। সেই কারণে এখনও পর্যন্ত নির্বাচনে অপরাজয় আমি। গত পাঁচবছরে বিজেপি সাংসদ কোনও কাজ করেননি। কোচবিহারজুড়ে শুধু অশান্তি ছড়িয়েছেন। তারই প্রভাব ভোটবাক্সে পড়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তির পক্ষে রায় দিয়েছে জনগণ। ১৯৯৩ সালে প্রথম পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জগদীশবাবু। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। পরেরবার জিতে আদাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন। প পর দু’বার প্রধান ছিলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে। ২০১১ সালে ১ এপ্রিল বামফ্রন্ট ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত সমিতিতে দাঁড়িয়ে সভাপতি হন। ২০১৬ সালে বিধানসভার টিকিট পান। সিতাই বিধানসভা থেকে পরপর দু’বার দাঁড়িয়ে জেতেন। এবারে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হয় তাঁকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে দিলেন তিনি। পঞ্চায়েত, বিধানসভা, লোকসভা সব নির্বাচনে জিতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলেন জগদীশবাবু।
শিক্ষকতার পেশা থেকে অবসর নেওয়ার পরে সর্বক্ষণের রাজনীতির কর্মী তিনি। মানুষের প্রতি জনসংযোগ আর সাংগঠনিক দক্ষতা নির্বাচনের সাফল্যের ছবি বলে তাঁর অনুগামীরা দাবি করেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পরে কয়েক মাস বাড়িছাড়া ছিলেন। ২০২১ সালে ফের সিতাই থেকে জয়ী হন। লোকসভায় টিকিট পাওয়ার আগাম ইঙ্গিত দেওয়া হয় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। তারপরে কোচবিহারজুড়ে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেন।
নিশীথ প্রামাণিক প্রার্থী ঘোষণার পরে প্রথম দফায় প্রচারে বেরিয়ে সিতাই বাজারে সভা করতে পারেনি। নির্দিষ্ট সময়ে আসতে না পারায় পুলিস তাঁকে বাধা দিয়েছিল। পরের দিন সিতাইতে সভা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছিলেন, সিতাইতে বুলডোজার চালানো হবে। লোকসভার ফল ঘোষণার পরে সিতাইয়ের বিধায়ক পলাতক হবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাল্টা দিয়েছিলেন জগদীশচন্দ্র। এটা উত্তরপ্রদেশ নয় বাংলা, ভেটাগুড়ি নয় সিতাই, তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জমিদারি চলবে না। সংখ্যালঘু মহলেও জনপ্রিয় রাজবংশী নেতা জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। দলের সবপক্ষকে একসঙ্গে নিয়ে বাজিমাত করে ফেললেন এবার। নিজস্ব চিত্র