অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জলপাইগুড়ি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী ডাঃ জয়ন্তকুমার রায় জয়ী হন ৭ লাখ ৬৪ হাজার ১৮৪ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের সঙ্গে তাঁর ভোটের ব্যবধান ৮৭ হাজার ৭৩০। নির্মলবাবু পেয়েছেন, ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪১৮ ভোট। অন্যদিকে, সেয়ানে সেয়ানে লড়াই করেও আলিপুরদুয়ারে শেষ পর্যন্ত হেরে গেল তৃণমূল। তবে হারলেও ভালো খেলে গতবারের থেকে বিজেপির জয়ের ব্যবধান এবার এক ধাক্কায় তিনগুণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে রাজ্যের শাসকদল।
উনিশের ভোটে আলিপুরদুয়ারে বিজেপি প্রার্থী জন বারলা জিতেছিলেন ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৮৯ ভোটে। এবার বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা ব্যবধান গড়লেন মাত্র ৭৪ হাজার ৪৭ ভোটের। মনোজ পেয়েছেন ৬ লক্ষ ৯১ হাজার ৫৩৩ ভোট এবং প্রকাশচিক বড়াইক পান ৬ লক্ষ ১৭ হাজার ৪৮৬ ভোট।
জলপাইগুড়িতে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান ছিল ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ভোটের। এবার সেই ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৭৩০-এ। এর আক্ষেপও ঝরে পড়েছে জয়ন্তবাবুর গলায়। গণনা শেষে বলেন, ভোটের ব্যবধান বাড়লে খুশি হতাম। কেউ কেউ বলছিলেন ২ লাখের বেশি পাব। তারজন্য একটু খারাপ লাগছে। কিন্তু জয় এসেছে। এটাই বড় কথা। ফল খারাপের পিছনে তাঁর যুক্তি, প্রচারের জন্য তিন সপ্তাহের কম সময় পেয়েছি। সব জায়গায় পৌঁছতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা বলেই মনে করছি। এখন লক্ষ্য জলপাইগুড়ি লোকসভা এলাকার জন্য রেল যোগাযোগ, রাস্তাঘাট, কর্মসংস্থানের কাজ করা। তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, হারের কারণ পর্যালোচনা করতে হবে। আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে গণনাকেন্দ্রে প্রথম রাউন্ড থেকেই তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হয়। বিজেপি প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থাকলেও কখনও মাত্র দেড় হাজার, কখনও তিন-চার হাজার ব্যবধান থাকে। দশম রাউন্ডের পর বিজেপি তৃণমূলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে যায়। বিজেপি প্রার্থী মনোজবাবু বলেন, আমি জিতছি। তবে স্বীকার করতে দ্বিধা নেই জয়ের ব্যবধান এবার গতবারের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, আমরা হারলেও এবারে ব্যবধান কিন্তু একলাফে অনেকটা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। দেশে ও রাজ্যে ওদের ভরাডুবি হয়েছে। ফলে জিতলেও বিজেপির উল্লসিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।