সৌম্য দে সরকার, মালদহ: গনির গড় রক্ষা করলেন মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী। একসময় মালদহ লোকসভা কেন্দ্রটি ভেঙে তৈরি হয়েছিল উত্তর ও দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্র। ১৯৮০ থেকে টানা আটবার মালদহ কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বরকত গনিখান চৌধুরী। ২০০৬ সালে তাঁর মৃত্যুর পর ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। জয়লাভ করেন গনিখানের ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরী (‌ডালু)‌। ২০০৯ সালে প্রথমবার মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রটি তৈরি হয়। এই কেন্দ্রেও কংগ্রেস তথা পরিবারের জয়ের ধারা বজায় রাখেন ডালুবাবু। মালদহ দক্ষিণ থেকে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে জয়লাভ করে হ্যাট্রিক করেন ডালুবাবু। এবার ওই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী করে ডালুবাবুর ছেলে ঈশা খান চৌধুরীকে। জেঠু গনিখান চৌধুরী ও বাবা ডালুবাবুর জয়ের ধারায় ছেদ পড়তে দিলেন না ঈশাও। 
মঙ্গলবার গণনার শুরুতে প্রথম কয়েক রাউন্ডে বিজেপি ‌প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সঙ্গে জোর টক্কর চলে ঈশার। কিন্তু বেলা গড়াতেই ক্রমশ এগিয়ে থাকার ব্যবধান বাড়াতে থাকেন গনি পরিবারের এই সদস্য। তিনটে নাগাদ জয় নিশ্চিত বুঝে গণনা কেন্দ্র চত্বরে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের ভিকট্রি সাইন দেখান তিনি। বলেন, মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র এবং তার আগে মালদহ লোকসভা কেন্দ্র নিরবচ্ছিন্নভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে থেকেছে। ২০২১ সালে খারাপ ফল হয়েছিল। কিন্তু আমরা মালদহ দক্ষিণের মানুষের ওপরে আস্থা হারাইনি। তাঁরাও আমার উপরে আস্থা রেখেছেন।
কংগ্রেস প্রার্থীর সংযোজন,সারাদেশেই বিজেপি‌র ফল খারাপ হয়েছে। মালদহ দক্ষিণের মানুষও ২০১৯ সালের তুলনায় এই কেন্দ্রে বিজেপির পরাজয়ের ব্যবধান বাড়িয়েছেন। মালদহ দক্ষিণের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। খুশিতে ঈশা বলেন, আজ জেঠুর কথা মনে পড়ছে। আমার জয়ে বাবার অবদান রয়েছে। পাশাপাশি কোতোয়ালি বাড়ির মর্যাদা রাখতে পেরে ভালো লাগছে। 
এদিন ঈশার জয় নিশ্চিত হওয়ার পরই বাবা ডালুবাবুর চোখেমুখে খুশির ছাপ। তিনি বলেন, ছেলের জয়ে খুব খুশি হয়েছি। মালদহের মানুষ বরাবরই কোতোয়ালির গনি পরিবারকে আশীর্বাদ করে এসেছেন। এবারও সেই ধারা বজায় থাকায় খুব আনন্দ হচ্ছে। দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি ধাক্কা খেয়েছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বে দেশ জুড়ে যে মানুষের আন্দোলন তৈরি হচ্ছে, তাতে ঈশা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আমি নিশ্চিত। পাশাপাশি মালদহের মানুষের দাবি লোকসভাতে তুলে ধরার পরামর্শও আমি ছেলেকে দিয়েছি।  নিজস্ব চিত্র