উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
রেলের এক আধিকারিক বলেন, ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য। বর্তমানে চারটি ট্র্যাক রয়েছে। দৈর্ঘ্য অনেক কম। সেগুলিকে বাড়ানো হবে। যাত্রী পরিষেবা চালু করতে স্টেশনে অনেক কিছুর প্রয়োজন। রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে যাত্রী পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিঙ্গাবাদ ঐতিহ্যবাহী স্টেশনের মধ্যে একটি। আগে বহু ট্রেন এই স্টেশনের উপর দিয়ে যাতায়াত করত। স্থানীয়রা বলছেন, বহু পুরনো এই স্টেশন অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল সিঙ্গাবাদেও। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই স্টেশনে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই স্টেশনে এসেছিলেন। পরবর্তীতে দেশভাগের পর এই স্টেশন থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ট্রেনে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা হয় এই স্টেশন দিয়ে। পণ্যবাহী ট্রেন যায় ওপারে। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, ঐতিহ্যবাহী এই স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করা হোক। রেল এই স্টেশন সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ করায় খুশি স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জগন্নাথ দত্ত। তিনি বলেন, রেললাইন সম্প্রসারণে অর্থ বরাদ্দের জন্য রেলকে সাধুবাদ জানাই। তাঁর সংযোজন, যাত্রী পরিষেবা চালুর অপেক্ষায় আছি।
কয়েক বছর আগে মালদহ কোর্ট স্টেশনে যাত্রী পরিষেবা চালু হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, লোকাল ট্রেনগুলি কোর্ট স্টেশনের বদলে সিঙ্গাবাদ স্টেশন থেকে ছাড়লে হবিবপুর ব্লকের বহু মানুষের উপকার হবে। পাশাপাশি উন্নত হবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। উপকৃত হবে ব্যবসায়ী মহল। নিজস্ব চিত্র।