আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে বালুরঘাট থেকে শিলিগুড়িগামী একটি নাইট সার্ভিসের বাস ওই তিনজনকে ধাক্কা মারে। বাইকটি বুনিয়াদপুর বাস স্ট্যান্ডের দিক থেকে গঙ্গারামপুরের দিকে যাচ্ছিল। আর বাসটি বুনিয়াদপুরের দিকে আসছিল। বাস ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তিনজনই বাইক থেকে পড়ে যান। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও খালাসি বাসটিকে রাস্তার উপর ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। বাসের যাত্রীরাও গোলমালের আশঙ্কায় বাস থেকে নেমে এদিক ওদিক চলে যান। এদিকে দুর্ঘটনার খবর চাউর হতেই এলাকায় লোকজন জড়ো হয়ে যান। তাঁরাই ওই তিন যুবককে স্থানীয় রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে পথ দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কেরওই জায়গায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে বংশীহারি থানার বিশাল পুলিসবাহিনী এসে ঘাতক বেসরকারি বাসটি ও বাইকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা রাতেই জাতীয় সড়কে ডিভাইডারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পুলিস পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। শনিবার সকালে তিন যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস।
গঙ্গারামপুর মহকুমার পুলিস আধিকারিক দীপকুমার দাস বলেন, আমরা রাতেই প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে অভিযোগ নিয়ে পথ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। ঘাতক বাস ও বাইক থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুনিয়াদপুরে ঢোকার মুখে জাতীয় সড়কের উপরে আমরা কিছু জায়গায় ডিভাইডার দিয়েছি।
জানা গিয়েছে, পার্থ ও সুশান্ত এলাকারই আরেক যুবক মিলনের সঙ্গে নতুন বছর উপলক্ষে পিকনিকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময় মিলনের শ্বশুরবাড়ি ধূমপাড়া এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন।
পার্থ ও সুশান্তের বাবা মলিন বর্মন বলেন, আমার দুই সন্তান পিকনিক করতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ওই বন্ধুটির সঙ্গে তারা কোথাও একটা যাচ্ছিল। রাতে খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে যাই। ছেলেদের আর জীবন্ত দেখতে পেলাম না। নতুন বছরে আমার দুই ছেলে অকালে চলে গেল। ওই বাস চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
প্রত্যক্ষদর্শী সন্দীপন ঘোষ বলেন, বাইকে তিনজন যুবক থাকলেও কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। বাসটিও খুব জোরে আসছিল। ওই এলাকায় জাতীয় সড়কে ডিভাইডার দেওয়ার খুব প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে বুনিয়াদপুর শহরের মধ্যেই এমন দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।