আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (সদর) জয় টুডু বলেন, ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এনজেপি থানার আমবাড়ি-ফালাকাটা ফাঁড়ি এলাকায় বানিয়াপাড়া অবস্থিত। গজলডোবার ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এখানেই তৈরি হচ্ছে উড়ালপুল। অন্যান্য দিনের মতো নতুন বছরের রাতেও এলাকাটি ছিল জমজমাট। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানেই হরসিতের উপর হামলা করে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হরসিত। তাঁর বন্ধবীর চিৎকার শুনে নির্মীয়মাণ উড়ালপুলের শ্রমিকদের একাংশ ও কয়েকজন পথচারী ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নিয়ে শনিবার সকালে এনজেপি থানায় খুনের অভিযোগ করেছেন মৃতের বাবা আনন্দ আগরওয়াল।
মৃতের বাবা এফআইআরে জানিয়েছেন, নতুন বছরের রাতে বান্ধবীকে নিয়ে বানিয়াপাড়ায় নির্মীয়মাণ উড়ালপুলের কাছে গল্প করছিল হরসিত। তখন তাদের কাছে টাকা দাবি করে তিনজন দুষ্কৃতী। তা দিতে অস্বীকার করলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হরসিতের বুকে আঘাত করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার রাতে এবং এদিন সকালে পুলিস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা মৃতের বান্ধবী, নির্মীয়মাণ উড়ালপুলের শ্রমিক এবং আশপাশের এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখানে ছিনতাইকারীদের গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। পুলিস জানিয়েছে, ছিনতাইকারীদের হামলায় ওই যুবক জখম হয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে।
শিলিগুড়ি শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গানগরে আনন্দ আগরওয়ালের বাড়ি। তিনি ব্যবসায়ী। তাঁর দুই ছেলের মধ্যে হরসিত বড়। তিনি একটি দোকানে কর্মরত ছিলেন। হরসিতের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা বলেন, এভাবে হরসিতের মৃত্যু হবে, তা অকল্পনীয়। স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটার তৃণমূলের দুর্গা সিং বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি পুলিসের কাছে জানানো হয়েছে।
এদিকে, পর্যটন কেন্দ্র ভোরের আলোগামী রাস্তায় এমন ঘটনায় পর্যটকরা আতঙ্কিত। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট রাস্তায় ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে না পারলে পর্যটন শিল্প মার খাবে। তাই সংশ্লিষ্ট রাস্তায় পুলিসি নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত।