সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ককে না জানিয়েই শীতলকুচি ব্লকের আটটি অঞ্চলের সভাপতি সহ পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করলেন দুই ব্লক সহ সভাপতি। এনিয়ে শীতলকুচি ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে দলের অঞ্চল কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ব্যাপক আকার নিতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা দলের একাংশের। অপরদিকে ব্লক সহ সভাপতিদের অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করার কোনও এক্তিয়ার নেই বলে দাবি করেছেন বিধায়ক হিতেন বর্মন। শনিবার শীতলকুচিতে তৃণমূল অফিসে ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতিকে পাশে বসিয়ে দুই সহ সভাপতি পূর্ণগোবিন্দ সিংহ ও সাহের আলি মিঁয়া আটটি অঞ্চলের সভাপতি সহ পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করেন। যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে ব্লক সভাপতিরও অনুমোদন রয়েছে বলে দাবি সহ সভাপতিদের। শীতলকুচি ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতি সাহের মিঁয়া বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিজেপির হার্মাদরা। জেলা সভাপতি পরিবর্তন হওয়ার পরই ব্লক কমিটি সহ অঞ্চল ও বুথ কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর থেকে কোনও কমিটি হয়নি। পার্থপ্রতিম রায় কোচবিহার জেলা সভাপতি হওয়ার পরই আমদের ব্লকে দু’জন সহ সভাপতি ও একজন সদস্য সহ চার জনের কমিটি করা হয়েছে। এলাকার বিধায়কের বিরোধিতার কারণে পূর্ণাঙ্গ ব্লক কমিটি হয়নি। একই সঙ্গে ব্লক সভাপতিকে সামনে রেখে আমরা যে অঞ্চল কমিটি করে জেলায় পাঠিয়েছি সেই কমিটি বিধায়কের বাধায় ঘোষণা হচ্ছে না। কমিটি না থাকায় বুথ ও অঞ্চল স্তরে দলীয় কর্মসূচি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আমাদের কর্মীরা অনেকেই বসে যাচ্ছেন। বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই আমরা বাধ্য হয়ে অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করলাম। একই সঙ্গে পরবর্তীতে বুথ কমিটিও ঘোষণা করা হবে। অপর সহ সভাপতি পূর্ণ গোবিন্দ সিংহ বলেন, বিধায়ক দল ও দলীয় কর্মীদের কথা চিন্তা করছেন না। না হলে অঞ্চল ও বুথ কমিটি ঘোষণা করতে এভাবে বাধা দিতেন না।
স্থানীয় বিধায়ক হিতেন বর্মন বলেন, এভাবে ব্লকের দুই সহ সভাপতির অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করার কোনও এক্তিয়ার নেই। তাঁরা দলীয় নিয়ম না মেনেই অঞ্চল সভাপতি সহ পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করেছেন। এনিয়ে জেলা ও রাজ্যে আমি অভিযোগ জানাব। আমাদের ব্লক সভাপতি অঞ্চল কমিটির তালিকা তৈরির কাজ করছেন। শীঘ্রই আমরা অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করব। এনিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চান নি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তপন কুমার গুহ।